নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকার সাব রেজিস্ট্রার অফিসের একজন কর্মচারিকে বদলীর পর আবার একই স্থানে ফিরিয়ে আনার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ঢাকার জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী ছিলেন লায়লা আক্তার তুলি। ২০১৯ সালের শেষ দিকে নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে কোনো কারন ছাড়াই লায়লা আক্তার তুলিকে সাব রেজিস্ট্রার কেরানিগঞ্জ দক্ষিন বদলীর আদেশ দেন জেলা রেজিষ্ট্রার (ডিআর) সাবিকুন নাহার। শুধু তা-ই নয় ভূক্তভোগী সহকারির বিরুদ্ধে আনীত একটি ঠুনকো অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো ধরনের কারন দর্শানোর সুযোগ না দিয়ে বিভাগীয় মামলাসহ ৫ বছরের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেন। এতে করে ওই সহকারির চাকুরির পদোন্নতিতে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে তখন তেজগাঁও রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্্েরর সংশ্লিষ্ট কর্মচারিদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করে। বিষয়টি নজরে এনে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন নিবন্ধন অধিদপ্তরের বর্তমান মহা-পরিদর্শক (আইজিআর )। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১৪ জুন আইজিআর শহীদুল আলম ঝিনুক স্বাক্ষরিত এক আদেশে অফিস সহকারী লায়লা আক্তার তুলির ইতিপূর্বে আদেশটি বিধি বহির্ভূত বলে উল্লেখ করেন। একইসাথে জনস্বার্থ ও দাপ্তরিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে লায়লা আক্তার তুলিকে কেরানিগঞ্জ দক্ষিন সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে তার সাবেক কর্মস্থল ঢাকার জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে স্বপদে যোগদানের নির্দেশ দেন। আইজিআরের এ উদ্যোগ ও বিচক্ষনতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রেজিস্ট্রেশন বিভাগের কর্মচারিরা। কর্মচারিরা বলেন, লায়লা আক্তার তুলির আগের বদলীর বিষয়টি যেহেতু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের তদন্তে বিধি বহির্ভূত হিসেবে প্রমানিত হয়েছে। সেহেতু লায়লা আক্তার তুলির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও শাস্তির বিষয়টিও বিধিবহির্ভূত। তাই এ কর্মচারির ইনক্রিয়েন্ট বন্ধসহ তিরস্কারের বিষয়টি প্রত্যাহার করার দাবি রাখে। তারা এ বিষয়ে আইজিআর-এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নিবন্ধন অধিদপ্তরে চাকুরির বিধান ও পরিপত্রের নিয়ম লংঘন করে নিবন্ধন অধিদপ্তরের একাধিক কর্মচারিকে সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে নিযোগ দেয়া হয়েছে। ওইসব কর্মচারিরা সরকারের মন্ত্রী-আমলা ও প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লেক্্ের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। অবৈধ উপায়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেয়াসহ ভিন্ন পন্থায় কামিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো ধরনের জটিলতার আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে করে ভিন্নপন্থায় রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্্ের নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মচারিরা আরো উৎসাহিত হচ্ছেন। বিষয়টি নজরে এনে এখনই ব্যবস্থা না নিলে কমপ্লেক্্রজুড়ে অস্থিরতা বিরাজের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।