কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় সরকারী নিয়ম না মেনে সৈয়দ মাসউদ রুমী কলেজের গাছ কর্তন করা হয়েছে। বনবিভাগেরঅনুমতি না নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে গাছ কর্তনের ঘটনায় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেবিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে প্রশাসন ও বন বিভাগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ কাটাকার্যক্রম স্থগীত করেন। স্থগীতের পূর্বেই প্রায় ১৬টি গাছ কর্তন করা হয়। গাছ কাটার বিষয়ে বনবিভাগের নিকট কোন আবেদনইকরা হয়নি বলে বিভাগীয় বনকর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অবৈধভাবে গাছ কাটার সংবাদ জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজ সম্পূর্ন বন্ধ, মেহগনি ও নারিকেলগাছের অনেক কাটাগুলি পড়ে আছে এবং ৪ জন শ্রমিক আরো গাছ কাটার কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। তারা জানান, নিয়ম-অনিয়ম কিছুই জানে না, শ্রমিক হিসেবে কলেজ থেকে তাদের গাছ কাটতে বলা হয়েছে, দ্রæত সকল গাছই তারা কাটবেন। সৈয়দমাসুদ রুমে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সাইফুজ্জামান সুজন জানান অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন গালিব, হাফিজুর রহমানহেলাল, আঞ্জুমান নাহারসহ কতিপয় ব্যক্তি কলেজটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। কলেজের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে হাইকোর্টডিভিশনে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। নং ৪৬৩৫/ ২০২০। পিটিশন নিষ্পত্তি না হলেও তারা অবৈধভাবেদোকানপাট বরাদ্দ বিয়ে কলেজের বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, পরে স্থানীয?রা গাছ কাটার বিষয?টি জেলা প্রশাসককে জানালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হস্তক্ষেপে গাছকাটা বন্ধ করে কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ বিষয়ে সৈয়দ মাসউদ রুমি কলেজের সদস্য হেলাল ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আঞ্জুমান আরা জানান, গাছের ডালপালা কলেজভবনের টিনের চালের উপর আসায় গাছগুলো কাটা হচ্ছিল রেজুলেশনের মাধ্যমে। গাছ কাটার ব্যাপারে বন বিভাগের অনুমতিআছে কিনা জানতে চাইলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এ বিষয়ে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বলেন, গাছের কারনে টিনের চাল ফুটো হয়ে ক্লাসের ভিতরে পানি যাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা হচ্ছিল তাই পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মতে গাছ কাটা হচ্ছিল। বনবিভাগের অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের জানা ছিল না। এসিল্যান্ড ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ কাটা স্থগীত করেছেন এবং জেলা প্রশাসকের সাথেআলোচনা করতে বলেছেন। আমরা আগামীকাল জেলা প্রশাসকের নিকট যাবো। এদিকে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবির বলেন, কলেজ থেকে গাছ কাটার বিষয়ে কেউ কোন আবেদন করেননি।আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ কাটা স্থগীত করেছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।