জাফর ইকবাল, পাথরঘাটা, বরগুনা
বরগুনার পাথরঘাটায় মো. ইউনুস ধলুসহ তার পরিবার ও বংশের লোকজনের বিরুদ্ধে ৪০টিরও বেশি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিথ্যা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে পাথরঘাটা উপজেলার মঠেরখাল মৌজার ৯ দশমিক ৮৪ একর জমি আত্মসাৎ করতে তাদের ওই মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন ও তার সহযোগী দুলাল কোম্পানির বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। পাথরঘাটার মঠেরখাল গ্রামের বাসিন্দা মো. ইউনুস ধলু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা গ্রামের গরিব অসহায় পরিবার। মঠেরখাল গ্রামে আমার বাবা-দাদাসহ বংশের লোকজন অন্তত দীর্ঘ দেড়শ বছর ধরে বসবাস করে আসছে। কিন্তু আমাদের মঠেরখাল মৌজার ৯ দশমিক ৮৪ একর জমি ২০০৩ সাল থেকে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন ও তার সহযোগী দুলাল কোম্পানি ওই জমির মালিকানা দাবি করে আমাদের মামলায় জড়ান। এরপর একে একে অন্তত ৪০টিরও বেশি মামলা করেছেন আমাদের বিরুদ্ধে। এসব মিথ্যা মামলা চালাতে চালাতে আমরা এখন নিঃস্ব অসহায় হয়ে পড়েছি। একই সঙ্গে এই মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করে তারা ওই জমি আত্মসাতের চেষ্টা চালাচ্ছে। ইউনুস ধলু ছাড়াও পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, খলিল হাওলাদার, জাকারিয়া হাওলাদার, শাহিন হাওলাদার, কাজল বেগম ও হাসিনা বেগম। এ সময় শাহিন হাওলাদার বলেন, ভূমিদস্যু অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন ও দুলাল কোম্পানির মামলার হয়রানির শিকার ও দুশ্চিন্তায় আমার বাবা জাকির হাওলাদার দুই বছর আগে মারা গেছেন। কিন্ত বাবার মৃত্যুর পরও একটি মিথ্যা ধানকাটা মামলা দিয়েছেন তার নামে। ওই ভূমিদস্যুরা এভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েই যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে সেতারা বেগম বলেন, ভূমিদস্যু অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন ও দুলাল কোম্পানির মামলায় আমার শ্বশুর আব্দুল কাদের বরগুনা দ্রুত বিচার আদালতে হাজিরা দিতে যান। এ সময় ওই এজলাসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরবর্তীতে বাড়িতে এসে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ ভাবে অন্তত ৪০টিরও বেশি মামলায় আমিও আমার পরিবারের বিভিন্ন লোক হয়রানির শিকার হয়ে আজ নিঃস্ব। একই সঙ্গে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন।