অন্তত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য। গত কয়েক বছর ধরে সেটিই দেখে আসছে টাইগার সমর্থকরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লম্বা সময় ধরে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা বাংলাদেশকে অচেনা লাগল হারারেতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে।অবশ্য টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ কখনোই ধারাবাহিক না থাকলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অন্তত ধারাবাহিক। এই সিরিজকে অনেকটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হিসেবেই ধরা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপকে সামনে রেখে।
নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সরিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকে। দলে রাখা হয়নি মুশফিকুর রহিমকে। নেই সাকিব আল হাসানও।বলা হয়েছে তারুণ্যে গড়া দল পাঠানো হয়েছে জিম্বাবুয়েতে। তাতেই কিনা খেই হারালো বাংলাদেশ। অবশ্য ‘তরুণ’ শব্দের অর্থটা কী, সেটা ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারছে না দেশের ক্রিকেট।
আজ রোববার (৩১ জুলাই) সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে হারারেতে নামবে দুই দল। আজ হারলে সিরিজ শেষ বাংলাদেশের। তবে অধিনায়ক সোহানের অপেক্ষা ঘুরে দাঁড়ানোর। আমাদেরকে সামনের ম্যাচে শেষদিকে কয়েকটি ওভার ভালো বোলিং করতে হবে। আমি মনে করি ১৫ থেকে ২০ রান যদি কম হতো তাহলে ম্যাচে আমাদের পক্ষে ইতিবাচক ফল হতো। তারপরও মনে হয়েছিল আমরা রান তাড়া করতে পারব। উইকেট ভালো ছিল। আশা করছি দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াব।’
ওপেনিংয়ে ব্যর্থ মুনিম শাহারিয়ার। দ্রুত রান তোলার জন্য দলে নেওয়া মুনিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। এনামুল যক বিজয় খেলেছেন ওয়ানডে মেজাজে, করেন ২৮ বলে ২৬ রান। নাজমুল হোসেন শান্তর ২৫ বলে ৩৭, লিটন দাসের ৩২ (১৯) আর শেষদিকে অধিনায়ক সোহানের ৪২ (২৬) রান সত্ত্বেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ।তার আগে তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলামদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিংয়ে ২০৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।এত কিছুর পরও প্রথম ম্যাচে ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজেছেন সোহান। বলেন, ‘প্রথম ম্যাচের মধ্যেই অনেক ইতিবাচক দিক আছে। সেখান থেকেই আমরা ইতিবাচক দিকগুলো নেব। আমাদের কিছু জায়গায় অবশ্যই উন্নতির জায়গা আছে। সেগুলো আমরা উন্নতি করে পরের ম্যাচে নামব।’