সুমন রশিদ, আমতলী, বরগুনা
জন্ম দিয়ে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন যিনি তিনি তার পুত্রের কাছে অসহায় ও পাগল বলে গণ্য হয়েছেন। সমাজের প্রবাদে রয়েছে “পিতা মাতা পাগল হলেও বেঁধে রাখো” তেমনি ভাবে বেঁধে রাখেননি তার ছেলে সুলতান মৃধা। তিনি রেখেছেন পরিত্যক্ত ভাঙ্গা ঝড় ঝাপটা অবসবাস যোগ্য একটি ঘরে। আরো তার কাছ থেকে এমনটাই জানা গেছে, তার জমি জমা সবকিছুই লিখে নিয়ে তাকে নিঃস্ব করে রেখেছেন তার ছেলে সন্তান মৃধা। অবশেষে তার পুত্রবধূ ও ছেলে সুলতান মির্ধা ভাঙ্গা একটি অবসরযোগ্য ঘরে থাকতে দিয়েছেন। শানু মৃধার বয়স প্রায় ৯৫ বছর।
বয়সের ভারে আর নানা রকম অসুখে তেমন হাঁটাচলা ও কাজকর্ম করতে পারছেনা। তার ২ ছেলে আর ৩ মেয়ে রয়েছে । পিতা শানু মৃধা বৃদ্ধ হওয়ায় সুলতান তার ছোট ভাই ও বোনদের সম্পত্তি না দিয়ে কৌশল করে তার নিজের নামে সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন। বয়স বাড়তে থাকে নিজেও সন্তানের কাছে অবহেলার পাত্র হয়ে থাকেন। কিছুদিন পর থেকে কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের উত্তর কুকুয়া গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডে সানু মৃধা বাড়িতে। এলাকাবাসী জানান, প্রয়োজনীয় খাবার, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সেবা-যতœ না পাওয়ায় এখন তিনি অনেকটাই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে হয়েছে। কাউকে দেখলেই ‘ভাত দে বাবো মোরে এ্যাক থাল ভাত আইনা দে’মুই কিছু খাই নাই তার এই দুর্বিষহ জীবন দেখে আঁতকে ওঠেন প্রতিবেশীরা। এ ঘটনা তারা গণমাধ্যমকে জানান,গণমাধ্যমও তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন এ বিষয়টি তুলে ধরতে। ধরে তাকে ফেলে রেখেছেন অবসবাসযোগ্য ঘটিতে। এ বিষয়ে বড় ছেলে সুলতানা মৃধা মারধর ও নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন জমি লিখে না নেয়ার কথাও। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, রাতেই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। তিনি সেখানে যাবেন, বিষয়টি সত্যিকার অর্থে যদি এমন হয় তাহলে ওই ব্যক্তির বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।