আমতলী, বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচারা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মিথ্যা মারপিটের অভিযোগ দিয়ে নারীসহ নিরীহ লোকদের হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, ডালাচারা গ্রামের জয়নাল গাজীর তিন ছেলে মোঃ জহিরুল গাজী, মোঃ জাকির হোসেন ও শফিকুল গাজীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বসত বাড়ির জমি নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। গত ২৩ মে জহিরুল গাজী বাদী হয়ে আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে জাকির হোসেন, শফিকুল গাজী, খাদিজা বেগম ও জাহানারা বেগম সহ মোট ৪ জনকে আসামি করা হয়। অভিযুক্তরা অধিকাংশই দরিদ্র। থানা পুলিশের ভয়ে তারা স্বাভাবিকভাকে কাজকর্ম করতে পারছে না। জাহানারা বেগম ওই ইউনিয়নে মহিলা মেম্বর পদে নির্বাচন করেছিলেন।
তিনি একজন সমাজকর্মী। সরেজমিন গেলে মোঃ জহিরুল গাজী, মোঃ জাকির হোসেন ও শফিকুল গাজীর পিতা ষাটোর্ধ জয়নাল গাজী জানান, ওরা তিনজনই আমার ছেলে, সকল ঝামেলার মূল ঐ জহিরুল, জহিরুল আর জহিরুলের বউ নিজেরা নিজেদের শরীরে আঘাত করে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে জাকির আর শফিকুলকে পরিবার সহ হয়রানি করছে, জহিরুলেরই বেশি দোষ। আল্লাহই জানে কি হবে? জয়নাল গাজীর প্রতিবেশী খালেক প্যাদা জানান, আমি জয়নাল গাজীর বাড়ি যাইয়া দেখি জহিরুলের বউ ঘর ভাংগে আর বলে আগুন দিয়া ওগো লগে বুঝমু। জয়নাল গাজীর প্রতিবেশী বেল্লাল প্যাদা জানান,জহিরুলের বউ আর জহিরুল এরা দুজনে নাটক করে এ ঘটনা সাজিয়েছে। তার গায়ে শফিক কোন রকমের মারধোর করেন নি। পরিভানু জানান, এসব ঘটনা মিথ্যা বানোয়াট। দেলোয়ার ঘরামী বলেন, তাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ঝামেলা চলছিল।
হঠাৎ করে সেদিন আবার মারামারি ও গাছ কাটার ঘটনা ঘটছে, মূল ঘটনা হইছে জহিরুল আসলেই নির্যাতনের শিকার, জহিরুলের কেনা জমিও ওরা দুই ভাই জাকির আর শফিকুল জহিরুলেরে বুঝিয়ে দেয় না। উক্ত ঘটনার অভিযোগ কারী জহিরুল গাজী জানায়, আমার ঘরের সামনে জাকির ও শফিকুলের ঘর, আমার বাড়ি থেকে রাস্তায় বাহির হওয়ার জায়গাটা আমাকে দেয় না এবং আমার ক্রয়কৃত জমি আমারে ভোগদখল করতে দেয় না। আমার রোপন কৃত বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ গাছ আমার ভাইরা কেটে নষ্ট করে ফেলেছে এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে, আমি এর বিচার চাই। আমতলী থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি একেএম মিজানুর রহমান জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যাবস্থা নেব।