ইন্দুরকানী, পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নাদিয়া বেগম (২৪) নামের এক গৃহবধূ স্বামী ও শাশুড়ীর নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে ৯৯৯ নাইতে কলকরে নিজেকে উদ্ধার করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ গৃহবধূকে উদ্ধার করে ইন্দুরকানি স্বাস্থ্য কমপ্লেসে ভর্তি করেন, ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের দক্ষিন ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ নাদিয়া বেগম (২৪) দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকার আব্দুল হাইর স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ২০১৬ সালে সৌদি প্রবাসী আব্দুল হাই সাথে নাদিয়া বেগমের বিয়ে হয়।
বিয়ের পরে স্বামী আঃ হাই বিদেশে চলে যান। বিদেশ থেকে আসার পর স্বামী আব্দুল হাই এর বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায় সেখানে গৃহবধূ নাদিয়া বেগমের সাথে সামীর সাথে কথাকাটা কাটির এক পর্যায় লোহার পাইপ দিয়ে স্ত্রী নাদিয়া বেগমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। নিজেকে রক্ষার জন্য গৃহবধূ নাদিয়া পালিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে গৃহবধু নাদিয়া সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত নাদিয়া বেগম বলেন, বিদেশ থেকে আসার পরে স্বামী আব্দুল হাই ও শাশুড়ী হালিমা বেগম খাওয়া দাওয়াসহ সব ব্যাপর নিয়ে সব সময় নির্যাতন করে।
ননদের শশুড় বাড়ি বেড়াতে যাওয়া নিয়ে স্বামী আব্দুল হাই লোহার পাইপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে আমায়। এবিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী আব্দুল হাই বলেন, ছেলেকে নিয়ে বোনের শশুড় বাড়ি বেড়াতে যাওয়া নিয়ে স্ত্রী নাদিয়ার সাথে কথার কাটাকাটি হয়। পরে স্ত্রীকে কয়েকটি চর-থাপ্পর দিই। এছারা আর কিছু নয়। অভিযুক্ত শাশুড়ি হালিমা বেগম জানান তারা স্বামী-স্ত্রীর ঝগডা করে মারামারি করে আমি ছাড়িয়ে দিতে গিয়ে হাতের চর লাগে নাদিয়ার গায়ে সে জন্য এখন আমাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। ইন্দুরকানী থানার ওসি মো: এনামুল হক জানান ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে গৃহবধূ নাদিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনকরা হবে।