মাসুম বিল্লাহ:
ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নদী ও সাগরে ইলিশ সহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ উপলক্ষে শনিবার (৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে এক বর্ণাঢ্য নৌ র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই র্যালীতে র্যাব, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ডসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ, এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। র্যালীটি কীর্তনখোলা নদী থেকে শুরু হয়ে বেলতলা পয়েন্টসহ আশেপাশের নদী এলাকায় প্রদক্ষিণ করে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলেদের সহযোগিতায় ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। গত বছরের কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে অভিযানটি সফল হোক।তিনি আরও জানান, ২২ দিন পর জেলেরা আবারও নদীতে মাছ ধরতে পারবে, তাই এই সময় সবাইকে ধৈর্য ধরতে ও সচেতন থাকতে হবে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ জানান, “নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে ড্রোনের মাধ্যমে নদীতে নিয়মিত নজরদারি করা হবে।
”বরিশাল জেলায় মোট জেলে রয়েছেন ৭৯ হাজার ৬২৩ জন, যার মধ্যে কার্ডধারী জেলে ৬৬ হাজার ৫২৪ জন। তাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৬৬৩ দশমিক ১ মেট্রিক টন চাল, যা থেকে প্রত্যেকে ২৫ কেজি করে চাল পাবেন। মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।