সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় এক নারী ইউপি সদস্যের বানোয়াট অপপ্রচার ও থানায় মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে একই উপজেলার ৯ নং উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খাঁন সেলিম। অভিযুক্ত নারী ওই ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য রোকসানা বেগম। গতকাল শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ওই নারীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগপত্রটি পড়ে শোনান চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খাঁন সেলিম। অভিযোগে চেয়ারম্যান বলেন, ফেব্রুয়ারির ২ তারিখে ইউপি সদস্যদের নিয়ে পরিষদে ভি ডব্লিউ ভি কার্ড সংক্রান্ত জরুরী আলোচনায় বসি।
আলোচনার এক পর্যায়ে ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে অকথ্যভাষায় গালমন্দের অভিযোগে নারী সদস্য রোকসানাকে জিজ্ঞেস করলে, সে উত্তেজিত হয়ে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করে পরিষদ থেকে বের হয়ে যায় এবং বাড়িতে গিয়ে সেখান থেকে রামদা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ফিরে আসে ও আমার প্রাণনাশের চেষ্ঠা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে সেখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সে ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, আমি তার চুলের মুঠি ধরে জুতাপেটা করেছি। বসতবাড়িতে হামলা করে ২০ হাজার টাকার ক্ষতি করেছি, শ্লীলতাহানি করেছি, যা সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
রোকসানার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের সাথে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে উচাখিলা বাজারে প্রকাশ্যে ৪নং ওয়ার্ডের সদস্যের গলায় ছুড়ি ধরে। এছাড়াও ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ইয়াসমিনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগও রয়েছে। চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খাঁন সেলিম আরও বলেন, ইউপি সদস্য রোকসানা বেগম সবসময় এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে রাখে। সে এলাকার একজন মাদক কারবারি ও মাদকসেবী হিসেবেও চিহ্নিত। তাই রোকসানা বেগমের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানান। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উচাটিলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য শহিদ মিয়া, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মতিউর রহমান, ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাইফুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফুল আলম, ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম , ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য তাছলিমা আক্তার এবং ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইয়াসমিনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।