খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার প্রদত্ত গণটিকায় (করোনা ভ্যাকসিন) আগ্রহ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। শনিবার সকাল থেকে লকডাউন খোলার আগে সরকার ঘোষিত টানা তিন দিন ভ্যাকসিন প্রদানের কার্যাক্রমের শুরুর দিনেই ছিল সাধারণ মানুষের ব্যাপক আগ্রহ। কিন্তু প্রত্যাশার সে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করার আগ্রহ থাকলেও নানা জটিলতা ও ভ্যাকসিন প্রদানের নির্ধারিত থাকায় অনেকে বাড়ি ফিরেছে কেন্দ্র থেকে। অনেকে আবার নিজের নির্দিষ্ট কেন্দ্র নির্ধারণ,ম্যাসেজ আসাসহ নানা সমস্যার সম্মুখীনও হয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডে ৯ কেন্দ্র নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র প্রথম দিন ২শ করে ১৮শ টিকা ও খাগড়াছড়ির ৩৮ ইউনিয়নে এই গণটিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি ইউনিয়নে ৬শ করে টিকা প্রদান করা হয়েছে বলে জানা যায়। সব মিলিয়ে খাগড়াছড়িতে প্রথম দিনেই ২৪ হাজার ৬শ জনের গণটিকার আওতায় এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। খাগড়াছড়ি পৌর ৯টি ওয়ার্ডের করোনার টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী,কাউন্সিলরর পরিমল দেবনাথসহ সংশ্লিষ্টরা। এ সময় টিকা গ্রহণের বিষয়ে খোঁজখবর নেন তারা।
তবে গণটিকা গ্রহণ কালে মানা হয়নি স্বাস্থ্য বিধি, অনেক টিকা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য কর্মীও ছিল নির্ধারিত’র চেয়ে কম। ফলে কেন্দ্রে ১ জন স্বাস্থ্য কর্মী যেমন টিকা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে হয়রানিসহ ভোগান্তির শিকার হয়েছে নানা বয়সের সাধারণ মানুষ। অপরদিকে ০৭ ই আগস্ট সকল থেকে জেলার ৮ টি উপজেলা যথা- মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি, রামগড়, দিঘিনালা, পানছড়ি, মানিকছড়ি, ল²িছড়ি, গুইমারা। উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে মতাবেক কেন্দ্র ভাগ করা হয়েছে। গুইমারা উপজেলার কেন্দ্র গুলো হচ্ছে সিন্দুকছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাইল্যছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। নির্ধারিত কেন্দ্র গুলোতে টিকা কেন্দ্রে টিকা দেওয়া ও নিবন্ধন করার সময় গুইমারার তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহম্মেদ।