সোহেল আহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: এক সময় মানুষের যাতায়াতের জন্য নৌপথ-ই ছিল একমাত্র প্রধান মাধ্যম। কালের বিবর্তনে বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় মানুষ এখন সময় বাঁচানোর জন্য আকাশ পথকেও হাতের মুঠোয় নিয়েছে। রয়েছে সড়ক পথও। এর মধ্যেও মানুষ নদীপথকেই পণ্য পরিবহনে আরামদায়ক ও সহজলভ্য হিসেবে গণ্য করে থাকে। নদীর উপর ভিত্তি করেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গড়ে উঠেছিল নদীকেন্দ্রীক শহর। ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে নদীকেন্দ্রীক করার জন্য নতুন করে তিতাস নদীতে দুটি পণ্টুন স্থাপন করা হয়েছে। পরিচালনা করার জন্য ঘাট ইজারা দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু ঘাট দখলমুক্ত করা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, রাস্তাঘাট উন্নয়ন করা যা কিছুই করা হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাউতলী কুরুলিয়া খালের উপর প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের টিপি-৭২ পণ্টুন ও শয়তানিয়া ঘাট এসপি-১১৭ পণ্টুন প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের দুটি পণ্টুন বসানো হয়েছে গত দেড় মাস পূর্বে (৩০ এপ্রিল) যা এখন অযতœ ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে। কাউতলী ঘাটের জায়গা অধিকাংশই সড়ক ও জনপদ বিভাগের। সড়ক ও জনপদ বিভাগ এখনো ঘাটের উপরিঅংশ জায়গাটি দখলমুক্ত করে দিতে পারেনি বলে অভ্যন্তরীণ নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষ ইজারাও দিতে পারছেনা। এক পক্ষ বলছে এটা আমাদের দায়িত্বের বাহিরে, অন্যপক্ষ বলছে তারা আমাদের এখনো বুঝিয়ে দিচ্ছেনা বলে আমরা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছিনা। বিষয়টি শহরের জনমনে কৌতুহলের সৃষ্টি হলেও উভয় কর্তৃপক্ষই তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে চলেছেন যার কারণে সরকারের কোটি টাকার সম্পত্তি দায়সাড়াভাবে অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে এবং সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। এ বিষয়ে নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক কাউতলি ঘাটে যে পণ্টুন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি যেনো জনকল্যাণকর হয়। রাজস্ব আদায় করতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়নই প্রথম শর্ত হওয়া উচিত। কাউতলী ঘাটের পণ্টুনটি নোঙরের দেড়মাস অতিক্রম করলেও যথাযথ স্থানে এখনো স্থাপন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তিতাস নদীর এই অংশে দীর্ঘদিন খনন না হওয়ায় এখানে ডুবুচর, অবৈধ দখল-দূষণের পরিমাণটা দৃশ্যমান। আমরা বন্দর কর্মকর্তার সাথে কয়েকবার কথা বলেছি এখানে যথেষ্ট সরকারি জায়গা রয়েছে এবং পুরো জায়গাটাই অবৈধ দখলে রয়েছে। অবশ্যই যেনো বর্জ্য অপসারণ, কোন ধরনের স্বজনপ্রীতি না করে সঠিকভাবে উচ্ছেদ করে পণ্টুনে সুবিধাজনক উঠানামার ও যাত্রীদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-বন্দর আশুগঞ্জ ভৈরব কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ্ আমাদের কণ্ঠকে জানান, আমরা এটা এখনো বুঝে পাইনি। নৌ-সংরক্ষণ পরিচালনা বিভাগ আমাদেরকে বুঝিয়ে দেননি। তাছাড়া ঘাটের উপরীঅংশ অবৈধ দখলের জন্যও ঘাট নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। ইজারা দিতে হলে প্রয়োজন ঘাট নির্মাণ, যাত্রীদের নিরাপদে উঠানামার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন যা আমরা এখনো তা পারছিনা। তিনি আরো জানান, যেহেতু ঘাটের উপরীঅংশের জায়গাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের, তারা আমাদের বুঝিয়ে না দিলে আমরা কিছুই করতে পারছি না। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে আমরা কোন প্রকার সাড়া পাচ্ছিনা। নৌ-সংরক্ষণ পরিচালনা বিভাগের উপপরিচালক (নারায়ণগঞ্জ) জহির উদ্দিন জানান, অভ্যন্তরীণ নৌ-বন্দর আশুগঞ্জ ভৈরব কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ সাহেবকে দুটি পণ্টুন বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্বাহী প্রকৌশলী প্রশান্ত ভৌমিক আমাদের কণ্ঠকে জানান, আমরা মৌখিকভাবে অভ্যন্তরীণ নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি তারা নিজ দায়িত্বে অবৈধ দখলমুক্ত করে জায়গাটি ব্যবহার করার জন্য। মৌখিক জানিয়ে প্রশাসনিক কোন কাজ অন্য বিভাগকে হস্তান্তর করা যায় কি না এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
মঙ্গলবার, মে ৩০
সংবাদ শিরোনাম
- এরদোয়ানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনন্দন
- স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যালে শিক্ষামন্ত্রী নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি ২০২৬ সালে
- টেকনাফে ৩ লাখ ইয়াবা ইয়াবা উদ্ধার
- নৌযানের প্রথম শ্রেণির মাস্টারশিপ পরীক্ষায় ৭১ জন উওীর্ণ
- গণঅধিকার পরিষদের মানববন্ধনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ
- গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী-বেড়াইদেরচাল-বেপারীবাড়ী-লিচু বাগান সড়কের বেহাল দশা
- তিতাসে শাহিনুল ইসলাম সোহেল এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
- আশুলিয়ায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১