নিজস্ব প্রতিবেদক, কেরাণীগঞ্জ
কেরাণীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলের মাঠ যেন সরিষা ফুলের হলুদ আচ্ছাদনে ঢেঁেক গেছে। প্রকৃতি যেন তার আপন মহিমায় ফসলের মাঠকে সাজিয়েছেন বর্ণিল সাজে। দূর থেকে দেখে মনে হয় এসব এলাকার মাঠ জুড়ে কেউ যেন হলুদ চাঁদর বিছিয়ে রেখেছে। একইসাথে হলুদ রংয়ের আভার সাথে বাতাসে বইছে সরষে ফুলের মধুর মৌ মৌ গন্ধ। মৌ মাছিরা আকুল ব্যকুল হয়ে ছুটছে মধু সংগ্রহ করতে। মৌ-চাষিরাও ব্যস্ত সময় পারকরছেন মধু সংগ্রহের কাজে। মধু সংগ্রহের লক্ষে এরই মধ্যে শতাধিক মৌ-বক্স সাজিয়েছেন সরিষা ক্ষেতে। এ দৃশ্য দেখতে প্রকৃতি প্রেমীরা আসছেন সরষে মাঠের কাছে। তারা প্রকৃতির সৌন্দর্যে হিংসা করে মোবাইল ক্যামেরায় বন্ধি করছেন সরষে ক্ষেতের নয়নাভিরাম দৃশ্য। এ দৃষ্টি নন্দন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে যারা শহরে থাকেন কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনকে ফিরিয়ে নিতে হবে সেই শৈশব কিংবা কিশোর বেলার স্মৃতির আঙিনায়। উপজেলার কালিন্দী, বাস্তা, রুহিতপুর, কলাতিয়া, তারানগর ও হযরতপুর এলাকার মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে হলুদ সরষে গাছ। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এ বছর এ উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কেরাণীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.শহিদুল ইসলাম জানান, সরিষা একটি আগাম ফসল। এ বছর কৃষকদের সরিষা চাষে ব্যাপক সচেতন ও কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।আবহাওয়াও রয়েছে অনুকুলে। এখন পর্যন্ত ভারী কুয়াশা নেই। পোকার উপদ্রবও কম। যে কারনে সরিষা গাছও রয়েছে রোগ মুক্ত। ফলে এবছর সরিষার ভালো ফলন আসা করা যায় বলে তিনি জানান। তিনি বলেন তীব্র শীত ও ঘন কুঁয়াশায় ফসল হানির কারণ। যা এবছর এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান নয় এভাবে ফসলের অনুকুল আবহাওয়া থাকলে সরিষাসহ অন্যান্য সব্জির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান ওই কৃষি কর্মকর্তা।