নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘীর পাড়ে কোতোয়ালি থানা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত জ্বালানি তেল, গণপরিবহনের ভাড়া, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় গুলিতে নূরে আলম ও আবদুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেছে কোতোয়ালি থানা বিএনপি। গতকাল বিকালে নগরীর লালদিঘীর পাড়ে কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। এই অবৈধ সরকারের উন্নয়নের ফাঁকা বুলি সব ফাঁস হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে সরকার বিদ্যুতের অনেক গল্প শুনিয়েছিল। এখন বিদ্যুৎ না দিতে পারায় সেই ফাঁকা বুলি মানুষ জেনে গেছে। তাই সরকার এখন ভয় দেখিয়ে গদি রক্ষা করতে চায়।
কিন্তু মানুষকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এবার এক দফা নিয়ে রাজপথে নেমেছে মানুষ। রাজপথ ফুঁসে উঠেছে। এক দফা দাবি হচ্ছে, এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহŸান জানান তিনি। প্রতিবাদ মিছিল শুরুর আগে কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড় থেকে বিএনপির নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। লালদিঘীর পাড় থেকে মিছিল শুরু করে বক্সি বিট হয়ে আন্দরকিল্লা মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় জ্বালানি তেলের পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে দাবি করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে। তাদের পতন আসন্ন বুঝতে পেরে গণবিরোধী সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। শুধু জ্বালানি তেলের দাম নয়, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। এমনিতেই নিত্যপণ্যের সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবন বিপন্ন। তার ওপর আরেক দফা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মানুষের না খেয়ে মরা ছাড়া কোনো গতি নাই। কিন্তু তাতে লুটেরা সরকারের কোনো যায় আসে না। প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জ্বালানী তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
গোটা দেশে গণরোষ ছড়িয়ে পড়ছে। তেলের দাম বাড়িয়ে এই অবৈধ সরকার আবারও প্রমাণ করেছে, তারা জুলুমবাজ ও গণবিরোধী। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানান। আয়োজিত এই প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, হাজী মো. আলী, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর বিএনপি নেতা মো. আলী মিটু, হাজী নুরুল আকতার, আবদুল বাতেন, ইউছুপ শিকদার, কৃষকদলের নাজিমুল হক নাজু, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, ইসমাইল বালী, আলাউদ্দিন আলী নুর, আলী আব্বাস খান, খন্দকার নুরুল ইসলাম, রাসেল পারভেজ সুজন, হাজী আবু মহসিন চৌধুরী, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, সাব্বির আহম্মেদ,
সৈয়দ আবুুল বশর, জসিম মিয়া, হাজী আবু ফয়েজ, থানা বিএনপির সহ সভাপতি মো. ইউছুপ, আবদুল মান্নান, নেজাম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম, এড. ইমতিয়াজ উদ্দিন তারেক, মো. ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফিরোজ, দপ্তর সম্পাদক দিপক চৌধুরী কালু, প্রচার সম্পাদক মো. রিয়াদ, দিদারুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সি. সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, কোতোয়ালি থানা যুবদলের নুর হোসেন নুরু, মো. হাসান, আবদুল জলিল, স্বেচ্ছাসেবক দলের এন মো. রিমন, আবদুল্লাহ আল হাসান সোনামানিক, মো. আবিদ, ছাত্রদলের ইয়াকুব আলী জুয়েল, আবু সুলতান সানি প্রমূখ।