স্টাফ রির্পোটার,সাভার
সাভারের আশুলিয়ায় কফিল উদ্দিন (৬৫) ব্যক্তির হত্যার আসামিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৮) জুন ভোররাতে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার রিপনের বাড়ি থেকে আসামি রিতা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রিতা বেগম(২৯) নওগাঁ সদরের চকরামচন্দ্র এলাকার খাইরুল ইসলামের মেয়ে। নিহত কফিল উদ্দিন জামালপুরের ইসলামপুর থানার পাতুসি গ্রামের মৃত কাজী মুনশী শেখের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু সড়কের ডাক্তার শাফকাথ হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন। পুলিশ জানায়, গত ২২ মার্চ আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু সড়কের এশিয়ান ইউনিভার্সিটির অপরপাশে ডাক্তার শাফকাথ হোসেনের বাড়ি থেকে কফিল উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না। হাতে ইন হেলার ধরা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু নিহতের ঘরের দরজা বাহির থেকে ছিটকানি লাগানো থাকায় সন্দেহ হয় পুলিশের। কিন্তু নিহতের শ্বাসকষ্ট থাকায় স্বজনরা ধারনা করেন তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় মারা গেছে। সেজন্য লাশের সুরতহাল করতে রাজি ছিলেন না স্বজনরা।তবে পরিবারের অনীহার সত্ত্বেও তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার দিন ওই বাসা থেকে এক ভাড়াটিয়া বাসা ছেড়ে চলে যায়। ঘরে কিছু না থাকলে একটি খাতার কভারের মলাট খুজে পায় পুলিশ। তদন্তে নেমে ওই মলাটের উপর একটি স্কুলের ও শিক্ষার্থীর নাম পায়। সেখানো যোগাযোগ করে একটি ফোন নাম্বার পায় পুলিশ। কিন্ত সেই ফোনটি বন্ধ ছিল। কিছুদিন পর প্রযুক্তির সহায়তায় আরেকটি সিমের তথ্য পায় পুলিশ। পরবর্তীতে সেই সিমের তথ্য সংগ্রহ করে আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আশুলিয়া থানার এসআই) সুদীপ কুমার গোপ জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনাটি প্রথম থেকেই সন্দেহজনক ছিল। শ্বাসকষ্ট থাকায় পরিবারও সুরতহাল করতে রাজি ছিল না। তবে পরে পুলিশি তদন্তে হত্যার আসল কারন বেরিয়ে আসে। সুদীপ গোপ আরও জানান, নিহত কফিল উদ্দিন শাফকাথ হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন। আর ওই বাসায় রিতা বেগম ভাড়া থাকতেন। সেখানে ভাড়া থাকায় কফিল উদ্দিনের সাথে সুসম্পর্ক হয় রিতার। সে সুবাদে কফিলের তরকারি মাছ ইত্যাদি কেটে দিয়ে সহযোগিতা করতেন রিতা। ঘটনার দিন রাতে কফিলের মাছ কেটে তার ঘরে দিতে গেলে কফিল কুপ্রস্তাব দেয় রিতাকে। রাজি না হলে জোরাজোরি করে কফিল। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে রিতার আঘাতে কিপল মারা যায়। পরে তার হাতে ইন-হেলার ধরিয়ে দিয়ে সকালে বাসা ছেড়ে চলে যায় রিতা।