কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের পাহাড়তলী, ইসলামপুর,বাদশাহ ঘোনা,হালিমাপাড়া,সাত্তারঘোনা সহ একাধিক স্হানে চলছে নির্বিচারে ফের পাহাড় কাটা। চারদিকে শুধু পাহাড় কর্তন ও মাটি দিয়ে জায়গায় ভরাটের কাজ চলছে। সরকারি আইনকে অমান্য করে সংঘবদ্ধ পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট পাহাড়ের মাটি দিয়ে খাস জমি ভরাট করে নির্মাণ করছে পাকা স্হাপনা সহ বহুতলা ভবন। এইভাবে নির্বিচারে পাহাড় কর্তনের ফলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদী সংগঠন। পরিদর্শন করে দেখা যায়,বর্তমানে পৌরসভার পাহাড়তলী সহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকহারে পাহাড় কেটে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
দালান, বাড়িঘর ও দোকান মার্কেট নির্মাণ করার জন্য জায়গা ভরাট করতে হাজার হাজার ফুট মাটি প্রয়োজন। কয়েকটি সিন্ডিকেট সরকারি পাহাড় কেটে ভরাট কাজে মাটি যোগান দিচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে,পাহাড়তলীর ইসলামপুরে বিশাল আকারে পাহাড় কেটে সে মাটি দিয়ে ভরাট করছে খাস জমিতে গড়ে উঠা খোরশেদ আলম কুতুবীর বাগান বাড়ি।১০থেকে ১৫ জন শ্রমিক দিয়ে দিনদুপুরে পাহাড় কেটে এই জমি ভরাটের কাজ চলছে পুরোদমে। স্থানীয়রা জানান, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান তৎপরতা না থাকায় পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে দিবালোকে পাহাড় কেটে মাটি পাচার সহ খাস জায়গা ভরাট করে রাতারাতি গড়ে উঠছে বহুতলা ভবন ও আলিসান বাগান বাড়ি। ট্রাক, ডাম্পার যোগে মাটি ভর্তি করে বিভিন্ন এলাকায় মাটি দিয়ে জায়গা ভরাট করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি জায়গা দখল ও পাহাড় কাটা নিষিদ্ধ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেট সদস্যরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখি একের পর এক পাহাড় কর্তন করেই যাচ্ছে। বর্তমানে এমন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে যেন প্রশাসন বলতে কেউ নেই।বর্তমানে পাহাড়তলীতে পাহাড় কেটে মাটি পাচার,খাস জমি ভরাট ও অবৈধ স্হাপনা গড়ে উঠলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অনেকের অভিমত। স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সরকারি পাহাড় গুলো সুরক্ষা করতে অবিলম্বে পাহাড় কর্তন, মাটি পাচার ও সরকারি খাস জমি দখল করে স্হাপনা তৈরী বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসনের
নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।