গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
“গাছের আগালে বৌলের পোনা, বকে ধরিয়া খায় মায়ের বিয়ে নাই হইতে তার বেটি নাইয়োর যায়।” এটি খনারবচন হলেও এমন একটি অভিনব প্রতারণার কান্ড ফাঁস হয়েছে গাইবান্ধায় স্কুল শিক্ষক (সহকারী গ্রন্থাগারিক) মমতাজ বেগমের।
অভিযুক্ত ঐ নারী গাইবান্ধা সদর উপজেলার পুরাতন বাদিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক । ইনডেক্স নম্বর ১১০১৫৫২ পিডিএস নম্বর ১০০৪৭৬৯০৪। জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র অনুযায়ী মমতাজ বেগমের জন্ম ১৯৭৭ সালের ১ লা জানুয়ারি। অন্যদিকে, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বড় মেয়ের জন্ম ১৯৭৮ সালের ২২ মার্চ। সে হিসেবে মা-মেয়ের বয়সের পার্থক্য ১ বছর।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২ মে পুরাতন বাদিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে যোগদান করেন মমতাজ বেগম। সেসময় থেকে এ পর্যন্ত তিনি সরকারি বেতনভাতা ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মমতাজ বেগম গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রিফাইতপুর গ্রামের ভোটার। সেখানেও তার জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৭৭ উল্লেখ করা রয়েছে। অন্যদিকে তার বড় মেয়ে এসমোতারা জাহানের জন্মতারিখ ২২ মার্চ ১৯৭৮। ছেলে গোলাম রহমান সুমনের জন্মতারিখ ১ জুলাই ১৯৮০। তারা দুজনই ওই ওয়ার্ডের ভোটার। এমন প্রতারণায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামিল মিয়া কে ফোন দিয়ে ঐ শিক্ষকের সাটিফিকেটের জন্ম সাল জানতে চাইলে সে দিতে গড়ি- মসি করে,বলে বেশ কয়েক দিন ধরে প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক আসায় ঐ শিক্ষক কাগজ- পত্র বাসায় নিয়ে গিয়েছে। আমার কাছে তার কোন তথ্য নেই।আপনারা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করেন।পরে একাধিকবার ফোন দিলেও আর ফোন ধরেনি।