গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানা পুলিশের নির্যাতনে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসি। এসময় বিক্ষোভকারীরা ভোগড়া বাইপাস মোড়ে পুলিশের দুটিসহ চারটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং ট্রাফিক পুলিশ বক্সের মালামাল রাস্তায় এনে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষুব্ধরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেয় এবং সাউন্ড গ্রেনেট ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনে।
পরে বেলা ১২টার দিকে ওই দুই মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিকে পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেটে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে আরিফ ওরফে সজিব নামে এক দোকানদার আহত হয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম (৪৫) গাজিপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস পেয়ারা বাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে সুতার ব্যবসা করতেন। সে রংপুরের পীরগঞ্জ থানার শাহজাদপুর গ্রামে আব্দুল বাকীর ছেলে। নিহত রবিউলের ইসরাত (১০) ও নুসরাত (৫) নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় বাসন থানার দুই এএসআইকে ক্লোজ করা হয়েছে। অপরদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) আবু তোরাব মোঃ শামসুর রহমান ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ খায়রুল ইসলাম। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (অপরাধ) আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুর রহমান জানান, এ ঘটনায় যারা অপরাধী তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। বাসন থানার ওসি মালেক খসরু খান জানান, একটি গুজবকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা রাস্তায় ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করছে। অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগে রবিউল ইসলামে মঙ্গলবার আটক করা হয়েছিল। তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি। থানা থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।