মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
ডাক বিভাগের গ্রাহক সেবায় হয়রানি, ছিঠি পেতে বিলম্ব। সময় মত গ্রাহকের চিঠি প্রাপকের কাছে পৌছে না দেওয়া। রেজিষ্ট্রিকৃত চিঠির প্রাপ্তী স্বীকার পত্র না পৌছানো। বিলম্বে পৌছানোসহ গ্রাহকদের হয়রানি কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। নিয়মিত তদারকি না থাকা ও ডাক বিভাগের কর্মকর্তাদের চরম উদাসীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বিভাগটি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো: মশাহিদ আহমদ জানান- একজন ভুক্তভোগীর মানবিক আবেদন এর প্রেক্ষিতে গত ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ডাক বিভাগ, মৌলভীবাজার প্রধান শাখার রেজিষ্ট্রি মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি রশিদ নং- ৪৭৪, (বারকোড নং- উখ৯৮৭২২৯৩৯৪ইউ)- ও রেজিষ্ট্রি রশিদ নং- ৪৭৩ (বারকোড নং-উখ৯৮৭২২৯৩৬৩ইউ) এবং অর্ডিনারী ১৬টি ছিঠি (নোটিশ) নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার দুর্বাকান্দি গ্রামে প্রেরণ করা হয়।
উক্ত ছিঠির সন্ধান মৌলভীবাজার প্রধান শাখা, নরসিংদী- মনোহরদী একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন হাদিস মেলেনি। পরবর্তীতে বিষয়টি আলোচনায় আসলে গত ৩০ অক্টোবর- অর্থাৎ ২৪দিন পর প্রাপকের কাছে পৌছে দেয়া হয়। যতাসময়ে প্রাপক ছিঠি না পাবার কারণে বিবাদী পক্ষ নির্ধারিত তারিখে উক্ত কার্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেন নি। ফলে ভুক্তভোগী বেশ ক্ষতির সম্মুখিন। এ বিষয়ে জানতে নরসিংদী পোষ্টাল অপারেটর রাজ কুমার দাশ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মনোহরদী পোষ্ট মাষ্টার এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন । মনোহরদী পোষ্ট মাষ্টার এর মুঠোফোনে- ০১৪০৩-০৪৮১৯৬-একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তিনি রিসিভ না কারার কারণে বক্তব্য জানা সম্বব হয়নি।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ, মৌলভীবাজার প্রধান শাখার সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল কাম পোস্টমাস্টার আব্দুল কাদের বলেন, একটি ছিঠি পৌছতে ২৪দিন সময় নেয়ার কথা নয়। নিশ্চয় সেখানে দায়িত্বরতদের কর্তব্য কাজে অবহেলা রয়েছে। বিষয়টি আমি লিখিত ভাবে অবহিত করবো।