শাহিন মুন্সী, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম (টিকে) এর ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারনার বিচারের দাবিতে গত ১২মে ২০২১ ইং তারিখে প্রধানমন্ত্রী বারবরে অভিযোগ করে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে অভিযোগের অনুলিপি পাঠিয়েছেন ঐ পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য কাওসার মোল্লাসহ এলাকার বিপুল সংখ্যক সাধারন মানুষ। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন দপ্তরের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়নি।
অভিযোগ থেকে জানাযায় এম সুপারুল আলম টিকে ২০১১সালের ৭ই জুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে একেরপর এক দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে দরিদ্র ও সাধারন মানুষের জন্য সাহায্য সহযোগিতা গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডসহ এলাকার ধমিও ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎকরে গাড়ী বাড়ী সহ নামে বেনামে প্রচুর পরিমানে অর্থ ও সম্পদ করেছেন।দরিদ্রদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঘর দেওয়া বাবদ ঘর প্রতি ২০হাজার করে টাকা আদাই।
বয়স্ক ,বিধবা,প্রতিবন্ধী ও মাতৃকালীন ভাতাভোগীর কাছ থেকে ৫ হতে ৬ হাজার টাকা উৎকোচ আদায়।ভিজিএফ কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্তিতে ৩ হতে ৪ হাজার টাকা আদাই ও ৩০%চাল আত্মসাৎ।সরকারের একটি বাড়ি একটি খামার কর্মসূচীতে দলিও লোককে অন্তর্ভুক্তি।আরএমপি মহিলা নিয়োগে মাথাপিছু ৪০হতে ৫০ হাজার ঘুষ আদাই করেন। এছাড়াও এলজিএসপি, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী, টিআরসহ সকল পর্যায়ের বরাদ্দকৃত অর্থের নামমাত কাজ করে সিংহভাগ অর্থ আত্মসাত করে আসছে।
এছাড়াও চেয়ারম্যান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভিন্নমতের মানুষের ওপর দমন পিড়ন, এলাকায় এলাকায় দলাদলি বাধিয়ে রাখাসহ খুন জখমের মত ঘটনা ঘটিয়ে চলছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এ সকল অভিযোগের বিষয়ে মোবাইলফোনে চেয়ারম্যান সুপারুল আলম টিকের মতামত জানতে চাইলে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন আপনার সঙ্গে আর কে আছে রাখেন আগামীকাল এসে কথা বলব।