শাহীন মুন্সী, গোপালগঞ্জ:
ভক্ত সমর্থকদের কাঁদিয়ে, দলিও সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিয়ে, শেখ রকিব কে সমর্থন করে গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন জি এম শাহাবুদ্দিন আজম। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় গোপালগঞ্জের প্রান কেন্দ্র চৌরঙ্গী মোসলেম উদ্দিন প্লাজার সামনে এক সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন। এসময় শত শত ভক্ত সমর্থকেরা আবেগ ও ক্ষোভে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মেয়র প্রার্থী সাহাব উদ্দিন আজম তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপার সিদ্ধান্ত ও প্রিয় নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম ভাইয়ের দিকে নির্দেশনা মতে আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করছি এবং শেখ রকিব হোসেন কে সমর্থন দিচ্ছি। এ সমাবেশের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যপক ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও কে ঘিরে বিভিন্ন মন্তব্য ও আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। শাহাবুদ্দিন আজম দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছে। তিনি ২০১৬ সালে পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হলেও বাংলাদেশ আওয়ামী-লীগ থেকে কাজী লেয়াকত আলী (লেকু)কে মনোনয়ন(নৌকা প্রতীক) দেওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়ে ছিল। সমর্থন পাওয়া মেয়র প্রার্থী শেখ রকিব হোসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চাচাতো ভাই এবং আওয়ামী-লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা। তিনি এর আগে মেয়র প্রার্থী বদরুল আলম বদর ও মৃনাল কান্তি রায় (পপার) সমর্থন পেয়েছেন। আগামী ১৫ জুন গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে একযোগে ১৫টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এর পূর্বে গত ২৫ এপ্রিল তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ১৭ মে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ১১ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ২১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে দেওয়া হয়নি দলিও মনোনয়ন বা প্রতিক। বিএনপি সহ অন্যান্য দল কোন প্রার্থী না দিলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর পক্ষথেকে দিদারুল ইসলাম কে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালে গোপালগঞ্জ পৌরসভার পাশর্র্বতী ছয়টি ইউনিয়ন গোবরা, বোড়াশী, লতিফপুর, হরিদাসপুর, দুর্গাপুর ও রঘুনাথপুরের বেশ কিছু এলাকা অন্তর্ভুক্ত করে পৌরসভার আয়তন বাড়ানো হয়। ইতোমধ্যে পৌরসভাকে সম্প্রসারণ করে ৯টি ওয়ার্ড থেকে বাড়িয়ে ১৫টি করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সব রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল।