শাহীন মুন্সি, গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জে মুজিববর্ষের ঘরের দূর্নীতি ও পাওনা টাকা উদ্ধারে জন্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন আলী আহম্মদ শিকদার নামের এক ঠিকাদার।
গত ৫ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও গত ৩১ মে, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে দেওয়া লিখিত অভিযোগের বর্ননা থেকে জানাযায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণের কাজ নিয়ে ছিলেন ঠিকাদার আলী আহম্মদ শিকদার। সঠিক সময়ে কাজ বুঝিয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষকে। বিভিন্ন সময়ে বিল পেয়েছেন আংশিক হারে। আলি আহম্মদ তার শ্রমিক দিয়ে ১ ম, ২ য় ও ৩ য় পর্যায়ের মোট ৩৮০ টি ঘর নির্মাণ করেছে।
কর্তৃপক্ষ সদরের সাবেক (ইউএনও) বর্তমান (এডিসি জেনারেল) গোপালগঞ্জ, রাশেদুর রহমান ও পিআইও আলাউদ্দিনের কাছে ৫৩ লক্ষ ১২ টাকা পাওনা রয়েছে আলি আহম্মদ শিকদারের। পাওনা টাকা উদ্ধারে জন্য বিগত ৫/৬ মাষ পর্যন্ত ইউএনও ও পিআইওর অফিসে ঘুর ঘুর করেও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি।
পাওনা টাকা চাওয়ায় ইউএনও ও পিআইওর দ্বারা খারাপ ব্যবহার সহ প্রাণনাশের হুমকি ধামকির মুখে পড়তে হয়েছে ওই ঠিকাদারকে। অপরদিকে ঠিকাদার নিজেও মুজিববর্ষের ঘরের কাজ করা বিভিন্ন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের কাছে ঋণী রয়েছেন। বর্তমানে পাওনাদারের চাপে বাড়ী ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
অভিযোগে তিনি আরো লিখেছেন মুজিববর্ষের ঘরে করতে গিয়ে নিজেই ঘরছাড়া হয়েছেন। ইউএনও, পিআইও আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমার পাওনা টাকা ছাড়াও মুজিববর্ষের ঘরের বরাদ্দ থেকে ৪/৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ঘর তৈরিতে নিম্মমানের মালামাল ও ৩ নম্বর ইট ব্যবহার করেছে। ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আশ্রয়নের ঘর ফেটে যাওয়া, দেবে যাওয়া সহ ভেঙ্গেপড়ার মত ঘটনাও ঘটেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ঘর নির্মাণের জন্য বালি ভরাট করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্থানীয় সংসদ সদস্যর তহবিল থেকে আনুমানিক ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ আনলেও ইউএনও রাশেদুর রহমান ও পিআইও আলাউদ্দিন অবৈধ ভাবে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ভরাট করেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী ঠিকাদার।
অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এটা উপজেলার বিষয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাই এর সমাধান করবেন। সম্প্রতি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদোন্নতি পাওয়ায় জেলা প্রশাসকের কাছে সমাধান পাওয়া দুরহ হয়ে পরেছে।
এ বিষয়ে সাবেক ইউএনও বর্তমান এডিসি জেনারেল মোঃ রাশেদুল রহমান বলেন, আমার কাছে কারো কোন টাকা পাওনা নেই। তিনি ভিত্তিহীন ভাবে মনগড়া অভিযোগ দিয়েছেন।
আবেদনের শেষের দিকে তিনি লিখেছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটাই দাবী, আমি রাতে করে আমার পাওনা টাকা ফেরত পেতে পারি তার ব্যবস্থা গ্রহন সহ সাবেক ইউএনও রাশেদুর রহমান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলাউদ্দিনের দুর্নীতির বিষয়টি সঠিক তদন্ত পূর্বক সুবিচার করতে মর্জি হয়।
এবিষয়ে সাবেক ইউএনও বর্তমান এডিসি জেনারেল বলেন, আমরা কাছে কারো কোন টাকা পাওনা নেই। আহম্মদ আলী ভিত্তিহীন ভাবে মনগড়া অভিযোগ দিয়েছেন।