নিসা আক্তার দিনা, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় কম্পাউন্ড থেকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক শিকদার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্ৰেফতার হয়েছে।গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বিষয়টি আমাদের কন্ঠে কে নিশ্চিত করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় কম্পাউন্ড থেকে পুলিশের একটি চৌকস টিম তাকে আটক করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অনুমানিক দুপুর ১টার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সিদ্দিকী শিকদার কে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় কম্পাউন্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই নেতা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলার ১৬ নম্বর আসামি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, আবু সিদ্দিকী সহ জেলা-উপজেলা আওয়ামীলীগের অনেক নেতাই নিয়মিত নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক স্যারের কাছে আসতেন। আজ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিকী শিকদারকে এলজিইডির কম্পাউন্ড থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আটক করেছে। এই নেতার আমাদের দপ্তরে বিভিন্ন ঠিকাদারি ফার্মের নামে বেশ কয়েকটি কাজ চলমান রয়েছে।
গোপালগঞ্জ এলজিইডির তালিকাভুক্ত কয়েকজন ঠিকাদার আমাদের কন্ঠ কে জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক ২০২০ সালে গোপালগঞ্জ জেলায় যোগদান করেই জেলা-উপজেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে গোপন আঁতাত করতেন। লভ্যাংশ ভাগাভাগির চুক্তিতে বড় বড় কাজের গোপন প্রক্কালন মূল্য জানিয়ে দিতেন। এভাবেই অনিয়মের মাধ্যমে বিভিন্ন ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিয়ে গোপালগঞ্জ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নির্বাহী প্রকৌশলীর এধরনের অনিয়মের কারণে মূলধারার অনেক ঠিকাদার ইতোমধ্যে পথে বসে গেছেন।
এবিষয়ে জানতে গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হকের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি সাঁড়া দেননি।