মো. ওলিউর রহমান, গোলাপগঞ্জ, সিলেট
গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৪ নং লক্ষিপাশা ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের কতোয়ারপুর গ্রামের ১২টি পরিবারের একমাত্র চলাচলের রাস্তা দখল,পরিবেশ দূষণসহ বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গোলাপগঞ্জের কতোয়ালপুর মৌজার জেল নং ৪১ ও দাগ ৫৩৩ নং দারে সরকারি রেকর্ড ভুক্ত যা সরকারি এলজিইডি রাস্তার সাথে সংযুক্ত। রাস্তাটি খোলা এবং আরসিসি ডালাই ও ইট বিছানো নুর হোসেন খান আজাদসহ ১০/১২ টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তা,এই রাস্তা ব্যাতিত তাদের চলাচলের আর কোন রাস্তা নেই।অভিযুক্ত আব্দুল লতিফের বাড়ী রাস্তার প্রথম অংশে থাকায় রাস্তাটি একদিন রাতের আঁধারে পাকা দেওয়াল নির্মান করে বন্ধ করে দেয়।বিষয়টি এলাকাবাসী অবগত হলে তাদের অনুরোধে রাস্তা খুলে দেওয়া হয়নি অতঃপর নুর হোসেন খান বাদী হয়ে সিলেট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (২) নালিশ করলে আদালত গোলাপগঞ্জ এসিলেন্টকে সরজমিন তদন্ত সাপেক্ষে রাস্তা প্রতিবন্ধকতা অপসারনের আদেশ দেন এবং গোলাপগঞ্জ মডেল থানা কে শান্তি শৃঙ্খলা বাজায় রাখার জন্য আদেশ দেন।
এরপর মাননীয় গোলাপগঞ্জ এসিলেন্ট থানা পুলিশ ফোর্স নিয়ে রাস্তা প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করেন এবং তিনি সরজমিন তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেন। এই রাস্তাটি বর্তমানে খোলা থাকলেও বিবাদী আব্দুল লতিফ ও তার ভাতিজা বিবাদী নজরুল গাঁয়ের জুরে রাস্তার পাশে লেপটিন ও ময়লার ডেইন খোলে রাখে।যার কিছু জায়গা রাস্তার অংশীদার ফরিদ উদ্দিন খান, জাকির খাঁনের বসতবাড়ীর জায়গা নিয়ে ময়লার ড্রেন টাংকি বসায়।সেজন্য দুরগন্ধে বসতবাড়ীর লোকজনসহ রাস্তা চলাচলে জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম বেয়াগাত হচ্ছে এবং পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযুক্তদের এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীগন একাধিকবার বললেও তা সরানি হয়নি এবং কারও কথায় কোন গুরুত্ব দেয়নি। স্থানীয়রা জানান, আব্দুল মছব্বিরের ছেলে ও নজরুলের ছোট ভাই জূবের আহমদ সিলেট জালালাবাদ গ্যাস অফিসের অধিনে গোলাপগঞ্জ জালালাবাদ গ্যাস অফিসে চাকুরী করে।
সেই সুযোগে নুর হোসেন খানসহ ১০/১২টি পরিবারের সরকারি আদেশ থাকা সত্তে¡ও জালালাবাদ গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা হিসেবে ক্ষমতার প্রভাবে দীর্ঘ ২০ বছর থেকে গ্যাস সংযোগ দিতে আপত্তি দিয়ে রাখছে। অথচ বাকী সকল গ্রামবাসী গ্যাস ব্যাবহার করছেন। কিন্তু এই ১০/১২টি পরিবারের সদস্যরা গ্যাস অফিসে ফি দিয়ে অনুমোদন থাকা সত্তে¡ও গ্যাস ব্যাবহার থেকে বঞ্চিত। আবার জুবের আহমদ সে জালালাবাদ গ্যাস অফিসে চাকুরী করায় তার ঘরে বাড়ীতে চলাচলের রাস্তা ছাড়া তাহার বাড়ীর পিছনে বনজঙ্গলের ভিতর দিয়ে নিজ ঘরের গ্যাস সংযোগ করেছে।কোন দুর্ঘটনা ঘটলে এদিকে জালালাবাদ গ্যাস অফিসের গাড়ি বা ফায়ার সার্ভিসের কোন গাড়ি এবং জনসাধারণও যেতে পারবেনা। এবিষয়ে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ ও সহযোগিতা কামনা করছি।