গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে জমির সীমানা পিলার বসানোকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধ মান্নান ফকির মান্দু নিহত হয়। গত শুক্রবার বিকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে সকালে উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত মান্নানের ছেলে মিরাজ ও মেয়ে হামিদা বেগমস্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে মান্নান ওরফে মান্দু ফকিরের নিজ বাড়ির পাশে বিক্রিত জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, সালাম মেম্বার, জমির মাপকারী (আমিন) ওহাবসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সমবেত হন।
তারা জায়গা-জমি মাপজোখের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করে চলে যান। পরবর্তীতে মান্নান তার সীমানায় পিলার বসাতে গেলে ক্রয়কৃত জমির মালিক মৃত নূরালের ছেলে শামীম বাঁধা প্রদান করে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর শামীম, মোস্তফা, মোমিন, মইন, স্বপনসহ ৬/৭ জন যুবক সংঘবদ্ধভাবে ঘটনাস্থলে এসে লোহার রড দিয়ে মান্নানকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় বাবাকে রক্ষা করতে মেয়ে হামিদা বেগম ও ছেলে মিরাজ এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারপিট করে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সোয়া ৩টার দিকে মান্নান ফকিরের মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর সংবাদ নিয়ে মান্নানের ভাতিজা রাজা হামলাকারীদের বাড়িতে গেলে তাকেও মারপিট করা হয়। ছোটভাকলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা সরেজমিন গিয়ে জমি মাপজোক করে সীমানা ঠিক করে দিয়ে চলে আসি। এরপরেই সীমানায় পিলার বসানো নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে হাসপাতালে মান্নান ফকির মান্দুর মৃত্যু হয়। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে।