রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া উজানচর ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের পদ্মার নদীর চরজুড়ে জমি থেকে এখন বাদাম উঠাতে (তুলতে) ব্যস্ত সময় পার করছেন চরের কৃষককেরা। এসব এলাকায় কৃষকরা চর মহিদাপুর, চর কর্ণেরশনা, রাখালগাছি, চর বেতকা সহ বিভিন্ন চর এলাকার কৃষকরা বাদামের ব্যাপক চাষ করেছে এবং ফলনও ভালো হয়েছে। গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষি বিভাগ জনিয়েছে গোয়ালন্দ উপজেলায় এ বছর ১শত ৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে ১শত ৯৫ হেক্টর জমিতে। দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বাহিরচর দৌলতদিয়া সাত্তার মেম্বার পাড়া এলাকার বাদাম চাষী হানিফ খাঁ বলেন,গতবছর আমি চড়ের ৫ বিঘা জমিতে বাদম চাষ করেছিলাম। আমার এই ৫বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে মোট খরচ হয়েছিল ২৫/৩০ হাজার টাকা। আর বাদাম জমি থেকে বাদাম তুলে বিক্রি করেছিলাম ৯০ হাজার টাকার চেয়ে বেশী টাকা । গতবার আমার লাভ হয়েছিল প্রায় ৬০ হাজার টাকার মতো। আমি এবারোও ৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি, এবার আশা করেছি গত বছরের চেয়ে এবছরও বাদাম বিক্রি করলে বেশী লাভ পাওয়া যাবে যে কষ্ট করেছি তার ফলে আমাদের আনেক অনন্দ লাগছে।।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট উত্তরের এলাকার আরেক বাদাম চাষি মহিউদ্দিন শেখ বলেন, গতবছর ২ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। এ বছর ৩ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর বাদাম ভালো হয়েছে আশা করছি বাজারে বেশী দামে বিক্রি করতে পারলে আমার মতো কৃষকের কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠতে পারবো এবং এবারও বেশী লাভ হবে আমাদের মতো বাদাম চাষিদের। উপজেলার অন্তরমোড় চরের কৃষক রোস্তম আলী বলেন, “বাবারে হামরা তো চড়ের মানষ, চড়েই থাহি, চরেই আমাগেরে বাড়ি-ঘর। আর তোমারা তো বাদামের কথা কইতাছাও। আমি এবার বাদাম চাষ কেরছি ৩ বিঘা জমিতে। বাদাম তো ভালোই হইছে। সরকার যদি আমাগেরে দিকে তাকায় তাহলে ভালোই দাম পাবানি। বাদামে তো এহন খরচ কম হয়, অন্য ফসলের চেয়ে। তাই বাদাম চাষ করেছি।” গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা হিসাবে ১শত ২০ জন কৃষককে ডিএপি ১০ কেজি, সার ৫ কেজি, বারী-৮ বীজ ১০ কেজি করে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি কৃষকের জমিতে বাদাম চাষে ভালো ফলন হয়েছে। প্রতিটি কৃষকেরা যে কষ্টকরে পদ্মানদীতে বাদাম চাষাবাদ করে লাভোবান এবার হবে।ভালো ফলনের এবার বাদাম চাষিদের মুখে আনন্দের হাসি ।