মোঃ শরিফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর সড়ক এক বছর ধরে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে আছে । দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করার ফলে খানাখন্দে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। স্থানীয়রা কিছু জায়গায় বালু, ইটের গুঁড়া ফেললেও কর্তৃপক্ষের নেই কোনো মাথাব্যথা। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি পাকা সড়ক নাকি কাঁচা সড়ক। পুরো সড়ক কাদামাটির দখলে । রাস্তার পার্শ্বেই ইউনিয়ন পরিষদ , প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল, ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, মসজিদ-মন্দির সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকা সত্ত্বেও সড়কটি সংস্কারে বিলম্ব হচ্ছে। এ অবস্থায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা পিছলে ঘটছে দুর্ঘটনা। তারি উদাহরণস্বরূপ গত শুক্রবার ঘটে যাওয়া একটি দুর্ঘটনা, সিংজুরী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাজমিস্ত্রির নির্মাণ শ্রমিক বোঝাই একটি লেগুনা কাদায় পিছলে গিয়ে পার্শ্ববর্তী খালে পড়ে যায়। গাড়িতে থাকা সবাই মারাত্মক আহত হয়। তাদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । স্থানীয়দের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এরকম দুর্ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটে থাকে। জনবহুল এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন যানবাহনসহ হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে থাকে। রবিবার (২০ জুন) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘিওর দিল্লি রাস্তার সিংজুরী কেন্দ্রীয় কালী মন্দির থেকে আড়িয়াদহ গ্রামের মেছের খার নদীর ঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কের প্রায় সম্পূর্ণটাই খানাখন্দে ভরা আর ভাঙাচোরা, কিছু জায়গায় বৃষ্টির পানিতে কাদা জমে ডোবার মতো হয়ে আছে। পথচারীরা কাদা মাড়িয়ে হেঁটে রাস্তাটি পার হন। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে রিকশা। বিগত বন্যায় বেশ কয়েকটি জায়গায় সড়ক ভেঙে গেলেও তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ভাঙ্গা জায়গায় সামান্য কিছু মাটি ফেলেই দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ । তবে সেগুলোও গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে ভেঙে গিয়েছে। এতে করে দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। উপজেলা সদরে যাতায়াতের একটিমাত্র রাস্তা হওয়া চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অন্তত প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষের । স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা জানান, আমাদের এ সড়কটি দীর্ঘদিন মেরামত না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। জনস্বার্থে রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। স্থানীয় সিংজুরী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ বলেন, সিংজুরী কালীবাড়ি হতে মেছের খার ঘাট পর্যন্ত সড়কটির খুবই বেহাল দশা । বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি পুনরায় সংস্কার করার জন্য এলজিইডি অফিস কে বার বার তাগিদ দেওয়া সত্বেও তা হচ্ছে না । এছাড়াও সড়ক টেকসই করতে সংস্কারের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ হতে মেছের খার ঘাট পর্যন্ত সড়কে গাইডওয়াল নির্মাণ প্রয়োজন । এ বিষয় উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাকুর রহমান বলেন, রাস্তাটির বিষয়ে ইতিমধ্যে আমরা অবগত আছি’ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে খুব দ্রুত সম্ভব ১৫ দিনের মধ্যেই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন ।