মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের ঘিওর সদর হাসপাতালে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য দিন দিনই বেড়েই চলেছে। তাদের দৌরাত্ম্যে নানা হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা। চিকিৎসকের কক্ষে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও মানছেন না কেউ। রোগীরা বের হলেই ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চলে টানাহেঁচড়া। চিকিৎসা নিতে আসা নারীদের লাইন টপকিয়ে চিকিৎসকের সাথে সাক্ষাৎ করছেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।
রবিবার (১৯ জুন ) সকাল ১১:৩০ মিনিটের দিকে ঘিওর সদর হাসপাতালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের কনসালটেন্ট মেডিসিন অফিসার সুলতান মাহমুদ সুমন এর কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের লম্বা লাইন থাকা সত্ত্বেও ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎ করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ছাড়াও বিভিন্ন চিকিৎসকের কক্ষের ভেতরে ও সামনে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড় লেগেই আছে। রোগীরা চিকিৎসাপত্র নিয়ে বের হলেই তা টেনে ছবি তুলছে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা । এতে করে নির্দিষ্ট সময়ের বেইরে তারা ভিজিট করে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন।
কোনো রোগীকে চিকিৎসকের কক্ষে ঢুকতে দেখলেই ৩-৪ জন প্রতিনিধি ওই কক্ষের সামনে এবং ভেতরে ভিড় করছেন। আবার কেউ কেউ রোগীকে অপেক্ষায় রেখে তাদের ভিজিট সেরে নিচ্ছেন। এর বাইরে প্রতিনিয়তই চোখে পড়ে এসব প্রতিনিধিদের নানান দৃশ্য। এভাবেই প্রতিদিন সরকারি এ হাসপাতালটিতে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগী বলেন, আমি ডাক্তারের কক্ষে ঢুকেই দেখি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর কক্ষে ঢুকে ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। এ বিষয়ে ঘিওর হাসপাতালের (টিএস) ডাঃ হাসিব আহসান বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কোন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সাথে হাসপাতালের কোন ডাক্তারের সাক্ষাতের সুযোগ নেই । যদি সাক্ষাৎ করেও থাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।