খেলাফত হোসেন খসরু,পিরোজপুর:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি সাথে ঝড়ো হাওয়া। সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেদের ট্রলার গুলো আগে থেকেই নিরাপদ স্থানে রয়েছে। নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে । উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের নদী পাড়ের মানুষ ঝড়ের খবর শুনে আতংকিত হয়ে পরেছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানা’র ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে এবং দুর্যোগকালীন সময়ে করণীয় নির্ধারণে বুধবার রাতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় জেলা পুলিশ, নৌ বাহিনী ও সেনা বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় দুর্যোগকালীন সময় দুর্যোগ কবলিত এলাকার লোকজন কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং সেগুলোর সমাধানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বক্তারা।
জেলা প্রশাসক জানান, দুর্যোগকালীন সময় দুর্যোগ কবলিতদের আশ্রয় দেওয়ার লক্ষ্যে ৫৬১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ২৯৫ টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ২৬৬ টি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লক্ষ ৮০ হাজার ৫০০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়াও দুর্যোগ কবলিতদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, চাল ও শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ মজুদ রয়েছে।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আলম খান আরো জানান, ঘূর্নিঝড় ডানা মোকালেলায় জেলা প্রশাসন থেকে একটি কন্ট্রোলরুম সহ প্রতিটি উপজেলায় একটি টিম করা হয়েছে,৬৫ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে, ২ লক্ষ ৬৩ হাজার পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়াও ঘূর্নিঝড় মোকাবেলায় রেডক্রিসেন্টের ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও সিপিপি ২৪২০ জন সদস্য প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি পিরোজপুর জেলা শাখার সহকারি পরিচালক জানান, প্রবল ঘূর্নিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের নিম্নাঞ্চল এবং নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোঁয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ূ তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, গভীর সাগড়ে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকার জন্য বলা হয়েছে।