নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশের সিংহভাগ রাজস্ব আহরণকারী চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মৌলিক অধিকার পরিপন্থী কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এবং পণ্য চালান শুল্কায়নে এইচএস কোড (পণ্যের পরিচিতি নম্বর) এবং সিপিসি নির্ধারণে প্রণীত আইন বাতিলের দাবিতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আহŸানে গতকাল মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। ফেডারেশনের নেতারা সকালে কাস্টমস হাউসের বাইরে গেইটে অবস্থান করেন এবং অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এ উত্তরাধিকারী কর্তৃক লাইসেন্স এর মালিকানা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বাধা সমূহ বাতিল করা, বিধিমালার মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ধারা সমূহ বাতিল করা, এস আরও (৫৭/২০০০) এর ভিত্তিতে পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারন ও এইচ এস কোড ও সিপিসি ভুলের কারণে জরিমানা আরোপ রহিত করা এবং দেশের আমদানি / রপ্তানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টদের মৌলিক অধিকার পরিপন্থী সকল কালাকানুন বাতিল করার দাবিতে আজ আমরা সারা বাংলাদেশে কর্মবিরতি পালন করছি। এই দাবি আদায় না হলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু জানান , সারা দেশের সব শুল্ক ভবন ও স্টেশনে আজ পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি চলছে । এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছি আমরা। আজ আমরা বিল এন্ট্রি দাখিল, শুল্কায়ন, ব্যাংক ড্রাফট, পে অর্ডার জমাসহ কোনো কাজই করবো না। তিনি আরও বলেন কাস্টমস্ এজেন্টস্ লাইসেন্সিং বিধিমালা -২০২০ এর কিছু নিবর্তন মূলক বিধি সংশোধন অথবা বাতিল এবং কিছু বিধির অপপ্রয়োগ ও অপব্যাখ্যা নিরসনে ফেডারেশন কর্তৃক গত প্রায় দুই বছর যাবত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পত্র প্রদান ও আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষ সমাধানের আশ্বাস দিলেও তা সুদূর পরাহত। কখন ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছালে ও কতিপয় কর্মকর্তার বাধা প্রদানের কারণে সমাধান হয়নি। তাই ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস এসোসিয়েশন এর আজ ন্যায় বিচার পাওয়ায় উদ্দেশ্যে আমরা সারা দেশে ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচি পালন করছি। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের দাবি একটাই সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা করতে দিতে হবে। নয়তো আমরা কাজ করবো না, কাউকে কাজ করতেও দেবো না।