সুমন ভট্টাচার্য :
বাকীতে ইলেকট্রনিক্স ডিপ ফ্রিজ বিক্রয় না করায়, জেদের বশীভূত হয়ে বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর সহ নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করার অভিযোগ তুলেছেন রাহাত পরিবার।
গত ২ জুন (বুধবার) বাকীতে ডিপ ফ্রিজ না দেওয়াই ক্ষিপ্ত হয়ে বিপু, রিমন, জিহাদ উজ্জল, নাহিদ ও দলবল সহ রাহাতের নিজ বাড়িতে হামলা- ভাঙচুর করে, নগদ অর্থসহ দামি স্বর্ণ অলংকার লুট করে নিয়ে যায় মর্মে থানায় একটি মামলা করেন রাহাত আহমেদ।
ময়মনসিংহ নগরীর সদর থানার চরপাড়া ১৪ নং ওয়ার্ডের প্রাইমারি স্কুলের পাশে ৩ তলা ভবনে মৃত- আব্দুল মিয়ার ছেলে রাহাত আহমেদ(৪০),সপরিবারে বসবাস করেন। পেশায় তিনি একজন ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী। চরপাড়া মোড়ে নিজের একটি ইলেকট্রনিক্স দোকান আছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে যে,ঘটনার ২০/২৫ দিন পূর্বে বিপু, রিমন, জিহাদ, উজ্জল, নাহিদ তার দলবল নিয়ে রাহাতের দোকানে ইলেকট্রনিক্স পন্য কিনতে এসে বাকীতে একটি ডিপ ফ্রিজ কিনতে চাওয়ায় বাকী দিত অস্বীকৃতি জানায় রাহাত। যার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে, তরে দেখ্যা লইবাম বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
রাহাত পরিবার মামলায় অভিযোগ করেছেন, সি.কে ঘোষ রোডস্থ (ছায়াবাণী হল)-এর বাসীন্দা বিপু (৩৬), পিতা -মৃত নুরুল ইসলামের ছেলের হুকুমে রিমন(২০), জিহাদ (১৮), নাঈম (১৮), উজ্জল (১৮), নাহিদ (১৯), সুমন (১৯) সঞ্চয় (১৯) ইয়াছিন(২৩) ও দলবল দাউ, চাপাতি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অর্তকিত ভাবে বাসায় ঢুকে রাহাত কে খুঁজতে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিতে থাকে।
সে বাড়িতে না থাকায় তার মা ছলেমা খাতুন (৫৭) ও ভাই ফরহাদ আহমেদ এগিয়ে আসেলে রিমন তার হাতে থাকা রড দিয়ে আঘাত করলে হাতের ভেঙ্গে যায় এবং গলায় থাকা ৭৫০০০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
মায়ের উপর হামলার প্রতিবাদে তার ছোট ভাই এগিয়ে আসলে তাকেও চাপাতি, দাউ ও রড দিয়ে মেরে মারাত্মক জখম করে ঘরের সুপকেচের ডয়ার ভেঙ্গে নগদ ২১০০০০ হাজার টাকা ও ৩৫০০০ মূল্যের স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে পালিয়ে যায় বিপু বাহিনী।
পরিবারের লোকজনের চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন এসে মারাত্মক জখম অবস্থায় তাদেরকে ময়মনসিং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ৯নং ও ১০ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
রাহাত ও তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে এ ধরনের ন্যক্কারজনক সুপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা, লুটপাট ও ভাঙচুরের সুষ্ঠু বিচার দাবি করার পাশাপাশি নগদ অর্থ অলংকারাদির ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।