সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে শরীফ চৌধুরী ওরফে শান্ত হত্যাকান্ডের একদিনের মধ্যে মুলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে শুক্রবার তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও চাঁদা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে শান্তকে হত্যা করা হয়েছে বলে গ্রেফতারকৃতরা দাবি করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ময়মনসিংহের এসপি গৌতম কুমার বিশ্বাস গতকাল শনিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপার আরো বলেন, গত ৬ মার্চ দিবাগত রাতে চরপাড়ায় চৌধুরী ক্লিনিকের গলিতে শরীফ চৌধুরী ওরফে শান্তকে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘাতকচক্র পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদারের দিক নির্দেশনায় ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসের সহযোগিতায় ময়মনসিংহ টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে। তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে নিবিড় পর্যালোচনায় হত্যাকান্ডে জড়িতদেরকে সনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে পিবিআইয়ের চৌকস টিম পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স এলআইসির সহায়তায় দ্রুততম সময়ে খুনিচক্রের অবস্থান নির্ণয় করে। খুনি চক্রটি বার বার তাদের অবস্থান পরিবর্তন ও নিজেদেরকে আতœগোপনের চেষ্ঠা করে। চক্রটির সব চেষ্ঠা ব্যর্থ করে শুক্রবার ভোরে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার ভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শান্ত হত্যাকান্ডের মুলেহোতা রাকিবুল হাসান তপু, মোঃ শান্ত ইসলাম ও আরিফুজ্জামান আরিফকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য মতে পরাণগঞ্জ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ আলামত উদ্ধার করে পিবিআই। গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস আরো বলেন, নিহত শরীফ চৌধুরী শান্ত ও হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীরা পরস্পর বন্ধু এবং এলাকায় একত্রে চলাচল করত। এছাড়াও তারা চরপাড়া এলাকার ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান থেকে সাপ্তাহিক চাঁদা সংগ্রহ করত। গত ১০/১৫ দিন আগে নিহত শান্ত তার বন্ধু-বান্ধবদের ছেড়ে আলাদা গ্রুপ তৈরি করে এবং চাঁদা আদায়ে নিজের আধিপত্য বজায় রাখে। এমনকি বন্ধুদেরকে তার গ্রুপে যোগ দিতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি দেয় নিহত শান্ত। এতে চক্রটি প্রতিশোধ পরায়ন ও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে তাদের মাঝে উত্তেজনা চলছিল।