নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম এর আমীর দেশ বরেণ্য প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মুফতি মুনীর উদ্দিন কে সেকুলার বক্তা,ভারতের দালাল, ধর্ম ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে ময়মনসিংহে আহলে হাদীসের প্রচারণা বন্ধ । মুফতি মুনীর উদ্দিনসহ আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলামের অনুসারীদের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ ও কটুক্তি করে ধর্মীয় শত্রুতা ও সংঘাত করে ময়মনসিংহে সংগঠনটির মারকাজ দখল করার পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৪ নভেম্বর বিকেলে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানাধীন চকরাধাকানাই গাংপাড় ওয়াক্তীয়া মসজিদে স্থানীয় মুকুল মাস্টারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম নির্মূল কমিটির নামে একটি কমিটি গঠনসহ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ,আঃ হালিম সরকার, আঃ বারেক খা,মো.লাল মিয়া , মোঃ মোকসেদ আলী,দুদু মিয়া, মো.এমদাদ ,জাকির,মোতালেব, বাবুল মাস্টার, এমদাদ-২, আ.কাদের, আ.মালেক, আ.কাদের (গাংপাড়) নুরুল ইসলাম, মাওলানা আবুল বাসার, নাহিদুজ্জামান, খোকা মাস্টার, আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রমূখ।
সভার শুরুতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন রাজশাহী দারুল হুদা ইসলামি কমপ্লেক্সের পরিচালক ড. মুজাফ্ফর বিন মুহসিন। মুজাফ্ফর বিন মুহসিনসহ অন্যান্য বক্তারা বাংলাদেশ আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় নির্বাচিত আমীর মুফতি মুনীর উদ্দিন কে উদ্দেশ্য করে বলেন,মুনীর উদ্দিন ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের দালাল। তিনি ইহুদি খ্রিস্টানদের অর্থায়নে ময়মনসিংহে বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা নির্মাণ ও তাবলীগী কাজ করে সমাজে ফাসাদ সৃষ্টি করছে। তিনি বর্তমান সরকারের সহযোগীতা নিতে বিভিন্ন সময়ে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সভা সমাবেশ ও মানবন্ধন করিয়া তাবলীগে ইসলামকে সরকারী দলের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত করেছেন। মুনীর উদ্দিনের মতো দালাল ভ্রষ্ট লোককে তাবলীগে ইসলামের আমীর হিসেবে আর মেনে নেওয়া যায়না। তিনি নিরপেক্ষতা হারিয়ে আলেম নামের কলংক করেছেন। বক্তারা বলেন, ইতোপূর্বে আমরা ময়মনসিংহের পুলিশ কে ম্যানেজ করে ময়মনসিংহে তাবলীগে ইসলাম তথা মুনীর উদ্দীনের প্রচারণা বন্ধ করার প্রশাসনিক নির্দেশনা করাতে সফল হয়েছি। আজ থেকে আমাদের চকরাধাকানাই গ্রামে তাবলীগের কোন কর্মী তথা মুনীর উদ্দিনের কোন সমর্থককে ঘরের বহিরে যেতে দেয়া হবে না। কেহ মুনির উদ্দিনের অনুসারী হয়ে তাবলীগে গেলে তাদের চিরতরের শিক্ষা দেওয়া হবে। তাবলীগে ইসলামের কর্মীরা জানায়, তাবলীগ বিরোধী এই সাঙ্গপাঙ্গরা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে মুফতি মুনীর উদ্দিন এবার ময়মনসিংহে আসলে তাঁকে আর জীবিত খুলনা যেতে দেওয়া হবে না। মুনির উদ্দিন চকরাধাকানাই আসলে তাকে মামুনুল হকের মতো অবস্থা করে ফেলবো। ময়মনসিংহে যেকোন মূল্যে তাবলীগের কাজ বন্ধ করতে মরিয়া এই চক্রটি।
বর্তমানে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার চকরাধাকানাই মারকাজ এলাকার তাবলীগী কর্মীরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় তাদের বাড়ী ঘরে হামলা হতে পারে। ইতোপূর্বে উল্লেখিত বক্তাদের প্রতিহিংসা ও ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির ইচ্ছা বাস্তবায়নে মুফতি মুনির উদ্দিনসহ বাংলাদেশ আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম এর বিরুদ্ধে কতিপয় বাধ্যগত লোকের স্বাক্ষর নিয়ে উল্লেখিত বক্তারা ময়মনসিংহের সহকারী পুলিশ সুপার ত্রিশাল সার্কেল কে ভুল বুঝাইয়া ময়মনসিংহে তাহার সার্কেলে শান্তি শৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে বাংলাদেশ আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলামের ৩ যুগের অধিক বছরের কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করাতে সক্ষম হলে বাংলাদেশ আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল তাঁর নিয়োজিত আইনজিবীর মাধ্যমে উক্ত বক্তাদের বিগত ১৪ই নভেম্বর ২০২২ ইং একটি আইনী নোটিশ প্রেরণ করে এবং এ বিষয়ে আঃ খালেকসহ ৯৮৪ জন বাংলাদেশ আহলে হাদিস তাবলীগে ইসলামের অনুসারী স্বাক্ষরিত একটি আবেদন প্রধানমন্ত্রী ও আইজিপিসহ সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়। উক্ত আবেদনে ময়মনসিংহে বসবাসরত সকল আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলামের অনুসারিদের নিরাপত্তাসহ বাংলাদেশ আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত আমীর লক্ষ লক্ষ ভক্ত অনুসারির শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম এর আমীরকে অসম্মানকারী ও মানহানীকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়। উক্ত আবেদনে উল্লেখিত বক্তাদের ধর্মীয় বিবাদ সৃষ্টিকারী ও জঙ্গীবাদের মদদ দাতা বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ড. মুহসিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকাভুক্ত একজন নিষিদ্ধ বক্তা।
বিগত ৫ই এপ্রিল ২০১৯ ইং দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ১৫ জন বক্তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাত দিয়ে বিতর্কিত বক্তা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাদের ইসলাম ধর্মের নাম ব্যবহারে জঙ্গীবাদে উস্কানী দিয়ে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টের প্রচেষ্টা করছে বলে উল্লেখ আছে। ড.মুজাফ্ফর বিন মুহসিন তাদের মধ্যে অন্যতম। ড.মুজাফ্ফর বিন মুহসিনের নেতৃত্বে ময়মনসিংহে তাবলীগে ইসলামের কর্মীদের বিরুদ্ধে মুষ্টিময় ব্যক্তি ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে তাবলীগ কর্মীদের নাগরিক অধিকার বিপন্ন করে তুলেছে এবং যেকোন মুহুর্তে তাদের বাড়ীঘরে হামলা করতে পারে বলে আশংকা রয়েছে বলে স্থানীয় তাবলীগে ইসলামের কর্মীরা জানান। আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলামের কর্মীরা বিরোধীদের অন্যায় কর্মের প্রতিবাদ করায় এবং প্রশাসনের নিকট বিচার চাওয়ায় স্থানীয় তাবলীগে ইসলাম চকরাধাকানাই মারকাজের দায়িত্বশীল আঃ খালেক ও চকরাধাকানাই জোড় ইজতেমা কমিটির সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ খানসহ অসংখ্য তাবলীগী দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা প্রাণের ভয়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সারাদেশে বসবাসরত তাবলীগে ইসলাম এর অনুসারীদের মাঝে তাদের প্রানপ্রিয় আমীর মুফতি মুনীর উদ্দিন কে নিয়ে মানহানীকর,কটুক্তি, ও অসম্মান করায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাবলীগ কর্মীরা ময়মনসিংহে চরম আতংকে রয়েছে। উক্ত বক্তাদের প্রকাশ্য মিথ্যা উস্কানীমূলক মানহানীকর বক্তব্য এলাকায় চরম ভয়ার্ত অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভোক্তাভোগী বাংলাদেশ আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলামের নেতৃবৃন্দ। এ ব্যাপারে ড.মুজাফ্ফর বিন মুহসিনের কাছে জানতে চাইলে আমাদের কণ্ঠের এ প্রতিবেদকে সকল বক্তব্য অস্বীকার করে বলেন, আমি মাওলানা মুনির উদ্দীনকে অনেক ভালো জানি তিনি একজন বড় মাপের আলেম তার সম্পকে কোন ধরনের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আমি দেয় নি।