চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
করোনা সংক্রমণ যাতে না বাড়ে তার জন্য চাঁপাই নবাবগঞ্জের সিভিল ও পুলিশ প্রশাসন নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা পালাক্রমে তাদের নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। রাত পর্যন্ত তাদের এ কার্যক্রম চলছে, আবার সকাল হলে আবার শুরু হচ্ছে দিনের কার্যক্রম। এভাবে আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সদস্যরা দিনরাত তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের তৎপরতা তখনই সার্থক হবে, যখন মানুষের মাঝে করোনা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে উঠবে। এছাড়া, প্রয়োজন ব্যতীত মানুষ যখন ঘর থেকে কম বের হবে। যেসব মানুষের মাঝে এখনো বোধশক্তি বৃদ্ধি পায়নি, তারা এখনো অন্ধকারের জগতে রয়ে গেছে। কেননা বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস্ক বা স্বাস্থবিধি না মেনে স্বাভাবিক সময় ভেবেই তারা চলাচল করছে। এ মুহুর্তে জেলা শহরের রাস্তাগুলাতে মানুষের আনাগোনা অনেকাংশে কমে এসেছে। তবে, পৌর এলাকার রাজারামপুর, মালোপাড়া, টিকরামপুর, নামোনিমগাছি, হরিপুর ও দারিয়াপুর মহল্লার মানুষ চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে। যখনই পুলিশ আসছে তখনই সটকে পড়ছে। যখন চলে যাচ্ছে আবার তারা পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসছে, এমনই অভিযোগ এলাকার অনেক মানুষের। এছাড়া দাউদপুর রোডে অনেক হার্ডওয়ারের দোকান, স্বর্ণকারপট্টিতে স্বর্ণকারদের দোকান খোলা রেখে ব্যবসা করছে। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের গন্ধ পেলেই তারা তখন সটকে পড়েছে, চলে গেলে আবার স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করে। এরকম অবস্থা অন্য এলাকাতেও বিরাজ করছে। তবে শহরে ভিন্নতা রয়েছে। এদিকে, গ্রামাঞ্চলের চিত্র পুরোপুরি আলাদা। এখানে অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। তাদের মধ্যে মোটেও ধারণা নেই এখন চলছে করোনার ঢেউ। তাদের ভাবারও অবকাশ নেই, তারা দিব্বি বসে ছোট ছোট হোটেলে বসে খাবারসহ চা খাচ্ছে। কিছু কিছু ব্যক্তি যখন মাস্ক পড়ে চলাচল করছে, তাদেরকে আবার বিদ্রæপ কথা বার্তা বলতে দেখা গেছে। তারা এও বলছে গ্রামে করোনা আঘাত আনবে না। অতএব মাস্ক পড়ার প্রয়োজন নেই। যা হচ্ছে সব শহরের মানুষের। এরকমই গ্রামাঞ্চলের মানুষের ধ্যাণধারণা। তবে, কিছু কিছু মানুষের মাঝে এ রোগ সম্পর্কে ধারণা তৈরী হয়েছে। যারা বুঝতে পেরেছে, সেসব স্থানগুলোতে সমাগম অনেকাংশে কমে গেছে। এসব স্থানগুলোতে আইনশৃংখলাবাহিনী সদস্যরা মোটরসাইকেল নিয়ে টহল দিলে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। এখনো অনেকেই অবুঝের মতো করে রাতে একসাথে পিকনিক করে বসে খাচ্ছে। এটিও যেন অনেকের মাঝে এ অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে, শহরে সামান্য কিছু ব্যাটারী চালিত রিকশা ও অটোবাইক ছাড়া তেমন কোনো যান চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন ছোট ছোট রাস্তায় পায়ে হেঁটে মানুষের চলাচল ছিলো চোখে পড়ার মতো। শনিবার সকালে পৌর বাজার এলাকায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের উপস্থিতি খুবই কম ছিলো। শহরের সিসিডিবি মোড়, দারিয়াপুর মোড়, বিশ^রোড মোড়, হযরত শাহজালাল সড়ক, শান্তিমোড়, বাতেন খাঁ মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশি তল্লাশি দেখা গেছে। চোখে পড়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। অপ্রয়োজনে মোটর সাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরার সময় অনেকের জরিমানাও করা হয়েছে। শহরের প্রধান বাজার এলাকাসহ পুরো শহরে নিত্য পণ্য ছাড়া প্রায় সব দোকানই বন্ধ থাকতে দেখা যায়। তবে কিছু কিছু অপ্রয়োজনীয় দোকান লুকোচুরির মত করে খুলতে দেখা গেছে। পুরাতন বাজার এলাকার রাস্তাঘাটগুলো অন্য দিনগুলোর সকাল থেকে মানুষের আনাগোনা দেখ্ াগেছে।
শুক্রবার, জুন ২
সংবাদ শিরোনাম
- চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ
- লালমনিরহাটে ‘জিনের বাদশা’ পরিচয়ে ৫লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ২
- পাইকগাছায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা না মেনে মৎস্য ঘেরে দখল চেষ্টা
- কক্সবাজারে ইয়াবাসহ গ্রেফতার ২
- খাগড়াছড়িতে কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ১
- রূপগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হোটেল বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদারের মৃত্যু
- আইএমএফের পরামর্শ মেনে বাজেট করেনি সরকার: অর্থমন্ত্রী
- পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় লিফট কিনতে ৬ জনের তুরস্কে যাওয়া স্থগিত