চাঁপাইনবাবগঞ্জ :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোপালভোগ, খিরসাপাত, ল্যাংড়া, ফজলি, সুরমা ফজলি, আশ্বিনাসহ ১’শ টি জাতের আম নিয়ে গবেষণা বিষয়ক দুই খন্ডের একটি বই প্রকাশ করা হয়। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় জেলা প্রশাসন উদ্যোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস বিফ্রিং এর মাধ্যমে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন করেন স্থানীয় সরকার চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক এ. কে. এম তাজকির-উজ-জামান। এসময় তিনি জানান, আমকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অর্থনীতি পরিচালিত হয়ে আসছে। জেলার অনেক মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আম চাষ এবং বিপণনের সাথে জড়িত। আমের ঐতিহ্যকে বজায় রাখার জন্য আম চাষের পাশাপাশি আমের তথ্যাদি সংরক্ষণ জরুরী। আর বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া যায় জেলায় ৩৫০ থেকে ৮৫০ প্রজাতির আমের জাত রয়েছে। কিন্ত প্রকৃতপক্ষে ৪ থেকে ৫ টি আমের জাত ছাড়া বাকি জাতগুলো সেভাবে সম্প্রসারিত হয়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের ঐতিহ্যকে বজায় রাখার জন্য আম চাষের পাশাপাশি আমের তথ্যাদি সংরক্ষণ করা অতীব জরুরি। ইতোমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম জিআই সনদ পেয়েছে। এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসন আম নিয়ে নানাবিধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এই সমস্ত কর্মকান্ডকে একত্রিত করে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের মধ্যে প্রচলিত আমের ১’শ টি জাত নিয়ে ‘আমের ১০০ জাত’ নামক বই প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়। বইটিতে গোপালভোগ, খিরসাপাত, ল্যাংড়া, ফজলি, সুরমাই ফজলি, আশ্বিনা ইত্যাদি প্রচলিত জাত ছাড়াও দেওভোগ, গোলা, মালদহ গুটি, মিশ্রি দাগি, শ্যামলতা, মিশ্রিকান্ত ইত্যাদি অপ্রচলিত জাতের আমের বিস্তারিত তথ্য বইটিতে স্থান পেয়েছে। সেসব জাতের আমগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জানতে পারবে। বিভিন্ন আমের জাত নিয়ে প্রকাশিত ‘ আমের ১’শ জাত’ বইটি বাংলাদেশে আম নিয়ে প্রকাশিত প্রথম বই। আম চাষীদের পাশাপাশি আমের অনুরাগী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের ভৌগলিক অবস্থান এবং সর্বোপরি আমের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে, বিশ্বের বুকে আমগুলোকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম হিসেবে দাবি করার জন্য এ ধরণের দলিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘আমের ১’শ জাত’ বইটি প্রকাশের মাধ্যমে সে সুযোগ তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও ১’শ আমের জাত নিয়ে বই প্রকাশ করার আগ্রহ জেলা প্রশাসনের রয়েছে। দেশে এই জাতীয় এলব্যাম এটিই প্রথম। আম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্র্যান্ড উৎপাদন বছর ব্যাপী নানা কাজের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন আমের বাজারজাত করণের জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অবিলম্বে এই প্রকাশনার সুফল আম ব্যবসায়ীগণ পাবেন বলে তিনি জানান।