গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় রাস্তার উপর ইট রেখে বাড়ির প্রবেশ পথ বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে ভাতিজাদের হামলায় চাচার গুরত্বর আহত হয়েছেন। আহত চাচা আনিসুর (৫২) মাথায় গুরুত্বর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানায় এজাহার দায়ের করতে গেলেও মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ। এবিষয়ে ভিকটিম আনিসুর রহমান গাজীপুরের হাবিবুল্লাহ স্বরনীতে এক সংবাদ সম্মেল করে এসব অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিম আনিসুর রহমান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৫ জানুয়ারী রবিবার সন্ধ্যায় ট্রাক ভর্তি ইট এনে তার বাড়ির প্রবেশ মুখ বন্ধু করে দেয় চাচাতো ভাতিজা আরিফ মোল্লা (৪১), মো: মারুক মোল্লা (৩৬), মো: মাসুদ মোল্লা (৪৩)। এ বিষয়ে আনিসুর রহমান তার ভাতিজাদের ইটগুলো সরিয়ে নিতে বল্লে তারা উত্তেজিৎ হয়। তাদের মধ্যে কথা-কাটির একপর্যায়ে তার ভাতিজারাসহ অজ্ঞাত ১০/১২জন ব্যাক্তি ওই স্থানে থাকা ইট দিয়ে আনিুসর রহমানের উপর হামলা চালায়। এসময় আনিুসর রহমানের ডাক-চিৎকারে স্থানীরা এগিয়ে আসার আগেই সে মাথায় গুরুত্বর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আনিসুর রহমানকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে তার মথায় ত্রিশটির অধিক সেলাই দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। এসময় এছাড়া প্রচন্ড রক্তক্ষরন হয়। তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সকল স্বাক্ষিদের নিয়ে ১৯ জানুয়ারী গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানায় এজাহার দায়ের করতে যায়। পরবর্তীতে ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম ঘটনা তদন্তে ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দায়িত্ব দেন। তদন্ত শেষে ভিকটিম আনিসুর রহমানকে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাত ইন্সপেক্টর বলেন মামলার এক নম্বর আসামী আরিফ মোল্লাকে বাদ দিতে হবে। এছাড়া মামলায় শুধু কিল-ঘুশি উল্লেখ করতে হবে। তা না হলে মামলা নেয়া যাবে না। পরবর্তীতে ভিকটিম আনিসুর রহমান জানতে পারেন থানা পুলিশের সাথে আসামীদের যোগসাজসে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। তিনি আরো বলেন, পূর্ব শত্রæতার জেরে পরীকল্পিত ভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। আসামিরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়া বিচার জন্য তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এছাড়া আরিফ মোল্লার ছত্রছায় ছোট ভাই ইকবাল মোল্লা এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। অভিযুক্ত সকলে জমিদখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম লিপ্ত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। এবিষয়ে মামলার এক নাম্বার আসামি আরিফ মোল্লা বলেন, আনিসুর রহমান আমার চাচা। তার সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। হামলার সময় আমি ছিলাম না। তবে ঘটনা শুনেছি। থানা পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে আমার সংশ্লিষ্টতার কোন সত্যতা পায় নি। গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমপুর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্থানীয় তদন্তে পাওয়া গেছে তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মারামারির ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তিনজন আসামী পাওয়া গেছে। অন্য আসামীদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। কাশিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাফিউল ইসলাম বলেন, আসামী বাদ দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। মামলা এন্ট্রি না হলে এন্ট্রি করা হবে। এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।