কুমিল্লা ব্যুরো
কুমিল্লার চান্দিনা বসন্তপুর গ্রামে ছালমা আক্তার (১৪) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর গলাকাটা লাশ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে উদ্ধার করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ ।গত শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাতে চান্দিনার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের ব্যাপারি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছালমা ,সে স্থানীয় দারুল উলূম ইসলামিয়া মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ২ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে ছালমা তৃতীয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে এটি হত্যাকান্ড। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পরেনি পুলিশ।নিহতের বাবা সোলাইমান ব্যাপারি জানান,দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাইপো শাহ কামাল,শাহ জালাল ও ভাতিজি জামাই ওযায়েরের সাথে জমির টাকা পাওনা নিয়ে দ্বন্ধ চলছিল।৫ লক্ষ টাকা দিবে বলে ১০ হাজার টাকা বায়না দিয়েছিল।কিন্তু পরে আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি দিয়ে ১০ হাজার টাকা দিয়ে বলে আর কোনো টাকা দিবে না। বিষয়টা মীমাংসা করার জন্য গ্রাম্য মাতাব্বরদের জানালেও তারা মীমাংসা করেনি।পরে তাদের টাকা দিতে বললে তারা আমার স্ত্রীর উপর হামলা করে।গুরুতর আহতাবস্থায় আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করি এবং সে চিকিৎসাধীন ছিল। গতকাল আমি তাদের হামলার ভয়ে বাড়ির বাইরে ছিলাম। রাতে আমার মেয়ে বাড়িতে একা ঘুমিয়েছিল।এই সুযোগে ওই দুর্বৃত্তরা আমার মেয়ে কে তুলে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়।আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।নিহতের মা জানায়,আমি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।রাতে ছালমা বাড়ীতে একা ঘুমিয়েছিল।সকালে পাশের ঘরের লোকজন ছালমাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করলে এক পর্যায়ে পুকুরে ছালমার গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।। এদিকে অভিযুক্ত শাহ কামাল,জালাল ও ওযায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।চান্দিনা থানার অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান,সকালে এক ছাত্রীর গলা কাটা লাশের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে।