স্টাফ রিপোর্টার,চট্টগ্রাম
পবিত্র মাহে রমজান মাসে ভর্তুকি মূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছে চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি। ৪ এপ্রিল সোমবার আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার পুরাতন চেম্বার হাউসের সম্মুখে এ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রমজান মাসে ভর্তুকি মূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। শত বছরের পুরনো এই সংগঠনের দেশের প্রতি সমাজ এবং সমাজের মানুষের প্রতি দ্বায়বদ্ধতা আছে বলে আমি মনে করি। আমি আহ্বান করছি সামর্থ্যবান ব্যক্তি ও বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গুলোকে যাতে করে করোনা মহামারির পরবর্তীতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগামী অবস্থায় নিন্ম আয়ের ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বর্তমানে এ ধরনের কার্যক্রমে যাতে আপনারাও এগিয়ে আসেন। চেম্বার সভাপতি এ সময় পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে পাইকার এর কাছে যাওয়া এবং পাইকার থেকে খুচরা ও খুচরা থেকে ভোক্তার নিকট যাওয়ার যে সাপ্লাই চেইন রয়েছে সেই বিষয়ে কঠোর নজরদারি ও তদারকির আহ্বান জানান। বিশেষ করে মিল মালিক হতে পাইকাররা কত করে কিনল ও কত করে বিক্রয় করল এবং খুচরা বিক্রেতা পাইকার হতে কত করে কিনল ও কত বিক্রয় করল তা যাতে চার্ট আকারে লিখে রাখে। জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকারের পাশাপাশি চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এই বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখছে। কোন পণ্যের কৃত্তিম বাজার শর্ট দেখিয়ে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এ সময় চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, পরিচালক মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, মোঃ ওমর ফারুক, হাসনাত মোঃ আবু ওবাইদা, শাহজাদা মোঃ ফৌজুল আলেফ খান, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, সাজির আহমেদ, মোঃ ইফতেখার ফয়সাল, এসএম তাহসিন জোনায়েদ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, তানভীর মোস্তফা চৌধুরী ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম) উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ মানুষ যাতে সহনীয় পর্যায়ে ভোগ্যপণ্য কিনতে পারে সে জন্য চেম্বারের পক্ষ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের এই কার্যক্রম কেবল আগ্রাবাদের মাঝেই সীমাবদ্ধ না রেখে পুরো চট্টগ্রামে বিভিন্ন পয়েন্টে এই কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান চেম্বার সভাপতি। আগামী ২৭ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভর্তুকি মূল্যে ভোগপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। সেখানে প্রতি কেজি আতপ চাল ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৩০ টাকা এবং চিনি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। একজন ক্রেতা লাইনে দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ ৪ কেজি চাল ও ১ কেজি চিনি কিনতে পারবেন।