যশোর প্রতিনিধি
যশোর চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের দুইজন বিপথগামী ইউপি সদস্য এবং বিএনপি জামায়াতের কতিপয় কিছু ধান্দাবাজ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের কর্মী পরিচয়ে ২৮ শে সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় প্রেসক্লাব যশোরে ১নং ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরীর জনপ্রিয়তায় ঈশ্বার্ণিত হয়ে ভ্রান্তমূলক তথ্য উপস্থাপন করেছে। যা গণমাধ্যম থেকে অবগতি হয়ে আজ ২৯ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব যশোরে আমরা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। লিখিত বক্তব্যে ইউপি সদস্য সোহানুল আলম বাবু জানান টানা ৫ মেয়াদে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সফল সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১নং ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী। ছাত্র লীগের রাজনীতি ধরে ার এ পর্যন্ত উঠে আসা। করোনা কালীন জনগণের বন্ধু এক স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যক্তি তিনি। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সবখানেই তিনি সমানভাবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। অবৈধ সুযোগ নিতে না পারায় বিপথগামী দুই সদস্য নব্য আওয়ামীলীগ সেজে মোঃ আবুল কাশেম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম চেয়ার¤্রানের জনপ্রিয়তায় ঈশ্বর্ণিত হয়ে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট কুৎসা রটনা করে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপনা করেছে। আমরা এখানে উপস্থিত ৬ জন ইউপি সদস্যসহ ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী নেতৃবৃন্দ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গত ৫ বছরে ফুলসারা ইউনিয়নে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন মেহেদী মাসুদ চৌধুরী। এ ইউনিয়নের এমন কোন রাস্তা দেখতে পারবেন না যেখানে কাঁদা/মাটি আছে। ইউনিয়নের যে কোন বাড়ি থেকে বের হলেই পাবেন পাকা রাস্তা। যুগোপযোগী ও নান্দনিক পরিকল্পনায় তিনি এসব করেছেন। ১০০% সেনিটেশনসহ দেশের অনেক পৌরসভাতে যেখানে রোড লাইট পর্যন্ত নেই আমাদের ইউনিয়নে আধুনিক উন্নয়ন প্রযুক্তি সম্পন্ন ৪ শতাধিক রোড লাইট লাগিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী। ইউনিয়নকে সাজাতে নিরালসভাবে পরিশ্রম করছেন মাসুদ চৌধুরী। তিনি বলেন চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরীর অসংখ্যা উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে তিনি নগদ প্রায় কোটি টাকা হত-দরিদ্র, শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করেছেন। সরকারী বরাদ্ধসহ নিজস্ব তহবিল থেকে প্রতিদিন নিজস্ব পরিবহন যোগে মানুষের বাড়িতে চাল, ডাল, তেল, লবন, সাবান ও সবজি পৌছে দিয়েছেন। করোনা কে পিছু ঠেলে নিজ ইউনিয়নসহ উপজেলার ১৬৯ গ্রামে তিনি এ দ্রব্য সামগ্রী বিতরণসহ জনগণকে সচেতন করে গেছেন। মেহেদী মাসুদ চৌধুরূ জনবান্ধব এক নেতার নাম। তিনি সামাজিক, রাজনৈতিকসহ ইউনিয়ন ও উপজেলায় বিভিন্ন কর্মকান্ডে পরিচালনা করে যাচ্ছেন। একটা আদর্শ মডেল ইউনিয়নের রূপকার মাসুদ চৌধুরী। এ ইউনিয়নের ৮৭টি আধুনিক মসজিদ নির্মাণ করেছেন। স্কুল কলেজ, মন্দির উন্নয়ন তার ভূমিকা অপরীসীম। নির্বাচনকে সামনে রেখে তার উন্নয়নে জনপ্রিয়তার ঈশ্বার্ণিত হয়ে এসব মিথ্যা কুৎসা রটনা করছেন তারা। দলীয় প্রার্থীর বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেয়া সহ চেয়ারম্যানের নিকট থেকে অবৈধ সুযোগ না পেয়ে তারা এমনটা করছে বলে আমরা ধারনা করছি। একই সাথে বলতে চাইছি সংবাদ সম্মেলন উপস্থিতি সাবেক জাতীয় পার্টির নেতা অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে তিন তিন বার সাসপেন্ড হওয়া ফুলসারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান একজন চিহ্নিত নারী ধর্ষনকারী। যার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাসহ কয়েকবার ঝাড় মিছিল ও হয়েছে। এছাড়া, উপস্থিত কবীর একজন পেশাদার মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ডজন খানেক মামলা রয়েছে। অন্যান্যরও অধিকাংশগণ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। চেয়ারম্যান তাদের আশ্রয় প্রশয় না দেয়ায় আসন্ন ইউপি পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ধারণের কুৎসা রটনা করছে। তিনি বলেন আপনাদের জ্ঞাতার্থে একটা কথা না বললেই নয়, চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আশ্রয়নে প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়া নামে অর্থ আদায়ের যে বিষয়টি বারবার গণমাধ্যমে ঐ কুচক্রি মহল মিথ্যা ভাবে অভিযোগ তোলেন। তা মোটেও সত্য না। এ অভিযোগ উঠার পর সরকারী বিভিন্ন সংস্থা কয়েকবার তদন্ত করেছেন। কিন্তু এ পযৃন্ত কোন সংস্থা চেযারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী বিরুদেদ্ধ অভিযোগ পাননি। তার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আপনারা চাইলে নিতে পারবেন। এছাড়া, বিদ্যুৎ বিষয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তাও ঢাহা মিথ্যা কথা সাংবাদিক সম্মেলনে ছয়জন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।