মো.শহিদুল ইসলাম:
মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক মো. কামরুল হাসান নামে সমাজ কর্ম বিভাগের শিক্ষকে পুনরায় নিয়োগ দেয়ার বিষয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা থাকলেও গড়িমসি করছেন অধ্যক্ষ।
চলতি বছরের ১জানুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলের আদেশে কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা সাক্ষরিত এক নোটিশে তাকে পুনরায় যোগদানের নিদের্শনা দেয়া হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ তাকে চাকরিতে যোগদান করাতে বিভিন্ন তালবাহনা করছে। প্রভাষক মো. কামরুল হাসান মিথ্যা মামলায় ২০১৪ সালে বরখাস্ত হন।
কাগজপত্র সূত্রে জানা গেছে, মো.কামরুল ইসলাম মিরপুর কলেজে ১৬ মার্চ ২০০৪ সালে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন এবং ২০০৮ সাল পযর্ন্ত কর্মরত ছিলেন। পরে আবার তিনি ইমপিরিয়াল কলেজে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন সেখানে তিনি ২০১৩ সাল পযর্ন্ত কর্মরত ছিলেন।
এরপর পুনরায় তিনি ৭মে ২০১৩ সালে মিরপুর কলেজে আবার তিনি প্রভাষক হিসাবে যোগদেন। চাকরিরত অবস্থায় অধ্যক্ষ গোলাম ওয়াদুদ এর মদদে একটি চক্রান্তকারী ল প্রভাষক মো. কামরুল হাসানের নামে নারীও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন এবং তিনি চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। ওই মামলায় তিনি ২০১৬ সালে নির্দোষ প্রমানিত হন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলি-২০১৫ অনুসারে তিনি চাকরিতে পুনরায় যোগদান করার কথা। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে অবধি পযর্ন্ত যোগদান করার কোন ব্যবস্থা করেননি এ বিষয় মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ এইচ.এম মাহবুবুর রহমান বলেন,
তার বিরুদ্ধে মামলার সময় আমি এ কলেজে ছিলামনা তাই আমি মামলার বিষয় তেমন জানিনা তবে তার চাকরিতে যোগদানের বিষয় আমার কাছে আবেদন আসছে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও নোটিশ দেয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি গভর্নিং বডিকে জানিয়েছি এখন তারা একটি তদন্ত কমিটি করে দিবে তাদের রিপোর্ট অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।