মোঃ রুহুল আমিন রাজু, জামালপুর
জামালপুর জেলার সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মজিবুর রহমান (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ গত তিন মাস ধরে নিজ বসতবাড়ি থেকে স্বপরিবারে উচ্ছেদ হয়ে অন্যত্র বসবাস করে আসছেন। নিজ বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ মজিবর শেখ বর্তমানে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্থানীয় সুত্রে ও সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, মুজিবর রহমান মজু সেখ ১৯৯০ সালে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩১ শতাংশ জমি ক্রয় সেখানে বসতবাড়ি তুলে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছেন। জমি ক্রয় করার পর থেকেই বাড়ি ঘর উঠাইয়া নিয়মিতভাবে বসবাস করে নিয়মিতভাবে জমির খাজনা -খারিজ পরিশোধ করে আসছেন। স¤প্রতি মজিবর রহমান মজু সেখের বাড়ির সামনের অংশ স্থানীয় প্রতিবেশী জামাল রাজ নিজ জমি দাবি করে সেখান থেকে মজিবর রহমান মজু সেখ ও তার পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা করতে থাকেন।এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া বিবাদ হতো। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান,নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহএলাকার ব্যকিবর্গ বেশ কয়েকবার শালিশ দরবার করেও ব্যর্থ হন। গত ২৫ জুন রোজ শুক্রবার বেলা আনুমানিক আড়াইটা /৩টার দিকে প্রতিপক্ষ জামাল রাজ, মকবুল ূখোকম,রুকন,আংগুর,জয় রাজ, খলিল, সানোয়ার, অফিল রাজ,খবির রাজ,রশিদ,আবুল হোসেন , আজিজুল, কামাল, মুক্তা,ছালাম কামাল শামীম রাজসহ এদের নেতৃত্বে আরো অজ্ঞাত ১০জন স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে মসজিদে মাইকিং করে গুজব ছড়িয়ে বলে তাদের পক্ষের খলিল রাজ নামে এক লোক মারা গেছে। এই ভাবে এলাকায় গুজব ছড়িয়ে সন্ত্রাসীরা দিনের বেলায় মজিবর রহমান মজু সেখের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা বসঘরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাড়িঘর, জিনিসপত্র তছনছ করে এবং বৃদ্ধ মজিবর সেখের দুইটি গরু,ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া তিন লক্ষ টাকা, হাস মুরগীসহ ঘরের সকল আসবারপত্র নিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা মজিবর রহমান মজু সেখ ও তার দুই ছেলে আমিনুল ও মিজানুর কে কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। হামলার কিছুদিন পরে গত ২৮ আগষ্ট স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেনের বাসায় দু”পক্ষকে উপস্থিত করে আপোষ করে দেয়া হয়। কিন্তুু পরের দিন ২৯ আগষ্ট জামাল রাজ, আব্দুল জলিল মাষ্টার এর লোকজন শালিস অমান্য করে পুনরায় মজিবর রহমান মজু সেখের মেয়ে পারভীন ও মজিবরের পক্ষে কথা বলার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা জমির রাজকে মারধরসহ কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত করেন।বর্তমানে সে পঙ্গু হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। এ ছাড়াও মজিবর রহমান মজুর এক আত্মীয়ের নিকট একটি বাজাজ সি,ডি ১০০ সি সি,একটি মটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়েছে জামাল রাজ গংরা। এইসব ঘটনায় জামালপুর সদর থানার ও কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। জামাল রাজ গংদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হলেও। কিন্তুু জামাল রাজ গংরা প্রভাশালী হওয়ায় কারণে তাদের মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে । এদিকে অসুস্থ মজিবর সেখ দীর্ঘ দিন ধরে অন্যের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন আর তার ছেলেরা জামাল রাজের দায়ের করা মামলায় আসামি হয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। নানা রোগে আক্রান্ত মজিবর রহমান মজু সেখ তার পরিবার নিয়ে নিজ গৃহে ফিরে যাওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারসহ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।