বজলুর রহমান
রাজধানীর সবুজ বাগ থানাধীন ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন ৭৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জিয়াউল হক জিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ ড্রেজার ব্যাবসা, জুয়ার আসর, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়েজানাগেছে, ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের ৭৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জিয়াউল হক জিয়ার বিরুদ্ধে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয়প্রভাব খাটিয়েসাবেক নাসিরাবাদ ইউনিয়নে (ভাইগদিয়া) এলাকায়একের পর এক জমি দখল, মাদক ব্যাবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ, এলাকায়চলাচলকারী সিএনজি ও ব্যাটারীচালিত অটো রিকসা ইজিবাইক পরিবহনে চাঁদাবাজি, অবৈধ ড্রেজার ব্যাবসা, জুয়ার আসর পরিচালনা সহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়বাসিন্দারা জানান, নন্দীপাড়া বাজার, দক্ষিণগাঁও নয়াবাগ, কুসুমবাগ, বেগুনবাড়ী, মানিকদিয়া, উত্তর মানিকদিয়া চেয়ারম্যানবাড়ী এলাকার সকল স্থানেই রয়েছেতার একচ্ছত্র আধিপত্য। এসব এলাকার মধ্য দিয়েচলাচলরত শত শত সিএনজি ও ব্যাটারীচালিত অটো রিকসা ইজিবাইক থেকে চাঁদা তোলা হয়। ৭৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জিয়াউল হক জিয়ার নেতৃত্বে মোকলেস নামক এক লাইন ম্যানকে দিয়েচাঁদার টাকা উত্তোলন করা হয়। প্রতিদিন একেকটি গাড়ি থেকে তাকে ১০০-১৩০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। কাউন্সিলর জিয়ার ভাগিনা আলফি ও নয়ন, তার ভাতিজা মবিন এবং জিয়ার অনুসারী সরকার হিরা ও আদিল এলাকায়প্রকাশ্যে মাদকের ব্যাবসা নিয়ন্ত্রন করেন।
এছাড়াও তার নিজের অবৈধ ড্রেজারের ব্যাবসা রয়েছে। স্থানীয়বিএনপি নেতা বহু মামলার আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম, নিজাম ও আজিম কে দিয়েতিনি এসব নিয়ন্ত্রন করেন বলেও জানা গেছে। কাউন্সিলর জিয়ার প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে মেরাদিয়া আফতাব নগর এলাকায়আলম মেম্বারের জুয়ার আড্ডা বসে। এখানে প্রতিদিন কাউন্সিলর জিয়া সহ বিভিন্ন লোকজন কয়েক লক্ষ টাকার জুয়া খেলেন। জিয়া মাত্র পাঁচ মাস পুর্বে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েই এলাকায়ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার পালিত সন্ত্রাসীদের ভয়েএলাকাবাসী মুখ খুলতে চায়না। তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে এলাকাবাসী ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের প্রতি সদয়হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসব বিষয়েজানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের ৭৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জিয়াউল হক জিয়া বলেন,”আমি কোনদিন টাকা দিয়েজুয়া খেলি না, ড্রেজারের ব্যাবসা আমার লোকজন করে,তবে মাদক ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ গুলো ডাহা মিথ্যা কথা ও আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার”।