নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ্ সার্ভিস জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় গতকাল শনিবার ময়মনসিংহ বিভাগের জুনোটিক রোগে মৃত-কালিং পজিটিভ ফলাফল যুক্ত গবাদি পশুর খামারিদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করা হয়। ময়মনসিংহের ভিটিআই সম্মেলন কক্ষ এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ক্ষতিপূরণর চেক প্রদানের শুভ উদ্বোধন করেন ডা. দেবাশীষ দাশ, পরিচালক, প্রশাসন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। অনুষ্ঠানে ডা. প্রদীপ কুমার হালদার, পরিচালক, ভিটিআই, ময়মনসিংহ এবং ডা. মো. আজিজুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ্ সার্ভিস জোরদারকরণ প্রকল্প, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন । উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডা. মনোরঞ্জন ধর, পরিচালক, ময়মনসিংহ বিভাগ, ময়মনসিংহ । সভায় প্রকল্প পরিচালক জানান যে, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ্ সার্ভিস জোরদারকরণ প্রকল্পের কার্যক্রম দেশের ২৭ টি জেলার ২০১ টি উপজেলায় চলমান। অত্র প্রকল্পের আওতায় জুনোটিক রোগে মৃত/আক্রান্ত (কালিং সাপেক্ষে) গরু ও মহিষের খামারী পর্যায়ে ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপদ অপসারণে (পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ) ডিডিপিতে বরাদ্দের সংস্থান আছে । তিনি আরোও জানান যে গৃহপালিত প্রাণি ও প্রাণিজাত খাদ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরুপণের লক্ষ্যে ভেটেরিনারি পাবলিক হেল্থ ল্যাবের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৪ টি জুনোটিক রোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম তরান্বিত করা এবং জুনোটিক রোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম চলমান আছে । এছাড়া জুনোটিক রোগে মৃত / কালিং পজিটিভ ফলাফল প্রাপ্ত বয়স্ক বড় গরু বা মহিষের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮০হাজার টাকা, ১ বছরের বেশি ২ বছরের কম বয়সী বাছুর গরুর জন্য ৪০হাজার টাকা প্রদানের সংস্থান আছে। এ ছাড়া প্রকল্পভুক্ত উপজেলা হতে ৪ টি জুনোটিক রোগ বোভাইন টিবি, ব্রুসেলোসিস ,অ্যানথ্রাক্স ও জলাতঙ্কে আক্রান্ত -মৃত গরু-মহিষের নমুনা প্রেরণ কেন্দ্রীয় প্রাণিরোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার (সিডিআইএল) এবং ভেটেরিনারি পাবলিক হেল্থ অনুবিভাগ, মহাখালী, ঢাকা হতে চুড়ান্ত ল্যাব. পরীক্ষায় পজিটিভ ফলাফল প্রাপ্তি সাপেক্ষে খামারীকে ক্ষতিপূরণ ও নিরাপদ অপসারনে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ১৬ লাখ টাকা এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৯৮লাখ ৪০হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে। ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরে মোট নিরাপদ অপসরণ বাবদ ৪ লাখ ১২হাজার ৫শ‘ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। চলতি বছরের ৯এপ্রিল ময়মনসিংহ বিভাগে ক্ষতিগ্রস্থ খামারীদের মাঝে ৪০লাখ ৮০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে । ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপদ অপসারণ (পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা) কার্যক্রম এই প্রকল্পের আওতায় জুন ২০২৩ খ্রি. পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সভায় প্রধান অতিথি ডা. দেবাশীষ দাশ, পরিচালক, প্রশাসন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। জুনোটিক রোগের ঝুকি হ্রাসে সকল মৃত গবাদিপশুর নিরাপদ অপসারণ, উপজেলা পর্যায়ে খামারীসহ জনপ্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণের আওতাভুক্তকরণ এর উপর গুরুত্বারোপ করেন । সভায় ডা. প্রদীপ কুমার হালদার, পরিচালক, ভিটিআই, ময়মনসিংহ নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিত করার জন্য দেশব্যাপী জুনোটিক রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মতামত প্রদান করা হয়। প্রকল্পের অদ্যকার অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে সার্বিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করেন ডা. মনোরঞ্জন ধর, পরিচালক, ময়মনসিংহ বিভাগ।