চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বর্থেও জ্ঞানশরণ মহারণ্য বৌদ্ধ বিহারে অদ্য ৬ জুলাই বিনা নোটিশে চতুর্থ বারের মতন ভাংচুর এবং লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মন্দিরের আসবাবপত্র এবং বহু লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। এবং অবস্থান রত ৩৫ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু সন্ন্যাসীদের স্হানীয় প্রভাবশালী সন্ত্রাসী মহল জোরপূর্বক মন্দির ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বাধ্য করা হয়েছে। এহেন করুন পরিস্থিতিতে স্কুল অনাথাশ্রম ও বৌদ্ধ মন্দিরের বহু মূল্যবান সম্পদ ও নিজের অধিকারকে ছেড়ে দিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছেন ভিক্ষুসহ এতিম শিশু শিক্ষার্থীরা। মনে হচ্ছে ৭১ (একাত্তর) এর মুক্তিযুদ্ধে বিভীষিকা ময় পরিস্থিতি, স্বাধীনের পঞ্চাশ বছর পরে আবার নতুন করে হানাদার বাহিনীর অত্যাচার শুরু হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া থানার ফলাহারীয়া গ্রামের স্হানীয় বৌদ্ধ জনসাধারণ অত্যান্ত দুঃখে আতঙ্কে দিন অতিবাহিত করছে। হয়তো তাদেরকে ও সহায় সম্বল বাড়িঘর ছেড়ে জীবন রক্ষার তরে পালাতে হবে। এই মুহুর্তে জ্ঞানশরন মহারণ্য বৌদ্ধ মন্দির ও শরনংকর মহাথের এবং সংখ্যালগু বৌদ্ধদেরকে রক্ষা করার জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না। স্থানীয় প্রশাসনও সাহায্য করছে না বরং লুটেরাদের সাহায্য করছে। এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যক্ষ শরনংকর মহাথের ও ফলাহারিয়া গ্রামবাসী অত্যন্ত দুঃখের সহিত সুরক্ষা ও সহযোগিতার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচারের আবেদন জানিয়েছেন।