রাজাপুর, ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। নিহত আরিফ আকন (২৫) ওই উপজেলার বিলছোনাউটা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. শাহ-আলম আকনের ছেলে। সে বাগেরহাট পিসি কলেজের বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। গত মঙ্গলবার (২২জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নের বিলছোউনটা গ্রামের ৯৩ নং বিলছোনাউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামনে এ সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত আরিফকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আশংকাজন অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়, জানায় পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্যে কাঠালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, আমুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের (বিলছোনউটা) বিজয়ী প্রার্থী মজিবুর রহমানের (টিউবয়েল) মার্কার কর্মী সমর্থকরা পরাজিত প্রার্থী জিয়াউল হক ফারুকের (ফুটবল) এতক কর্মীকে বাজারের একটি দোকানে আটকে রেখেছেন-এমন খবর পেয়ে জিয়াউল হকের কর্মী সমর্থকরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন, আসমত আলী সিকদারের ছেলে শাহজাহান সিকদার (৫২) দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের ছেলে সিরাজ হাওলাদার (২৪) এবং গোলাম আলী হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৫৫) । এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে, বলেন ওসি পুলক চন্দ্র রায়। আহত যাদের নাম জানাগেছে তারা হচ্ছে পরাজিত প্রার্থী জিয়াউল হক ফারুকের কর্মী শাহআলম আকন (৫৭), তার স্ত্রী শাহানা বেগম (৫২), ছেলে শরীফ আকন (২৮), মেয়ে মনি আক্তার (২২), ইব্রাহিম আকন (৫৩), রাজু আকন (২৩) এবং বিজয়ী প্রার্থী মজিবুর রহমানের কর্মী আবদুল আলিম সিকদার (৫৫) ও আবদুল মালেক সিকদার (৫৬)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স (আমুয়া) ভর্তি করা হয়েছে।