ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ জেলায় আগাম শীতকালীন শাক – সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। সব ধরনের সবজি কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বেক্রি হচ্ছে। এতে খুবই খুশি কৃষক । তবে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতা ও ভোক্তাদের মাঝে। গতকাল বুধবার সকালে শহরের নতুন হাটখোলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে পাইকারী পর্যায়ে প্রতি কেজি বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, টমোটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মরিচ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, লাউ ২২ থেকে ২৫ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজী ১০ থেকে ১২ টাকা, পটল ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহের থেকে ২ থেকে ৫ টাকা বেশি। দাম বেশী হওয়ায় খুশি কৃষক।ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দক্ষিন কাষ্টসাগরা গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি এ বছর ১২ কাঠা জমিতে আগাম শীতকালীন সীমের আবাদ করেছি। পাইকারী বাজারে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।
বর্তমানে বাজারে সীমের দাম বেশি থাকায় আমি এবার লাভের আশা করছি। একই এলাকার কৃষক মোখলেচুর বলেন, আগাম মুলা আবাদ করে ভালো দাম পাচ্ছি। শীতকালে যে মুলা ২ বা ৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় সেই মুলা আজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম। এমন বাজার দর যদি আরও ২ সপ্তাহ থাকে তাহলে খরচ উঠে বেশ লাভ হবে বলে আশা করছি।ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহ থেকে এই সপ্তাহে সবজির বাজার একটু বেশি। প্রতিকেজি সবজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার দর এ অবস্থায় থাকলে আমরা খুশি। বৃষ্টির কারণে সবজির জমিতে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে তবে দাম ভালো পাওয়ায় সেই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। নতুন হাটখোলা বাজারের ব্যবসায়ী আনিচুর রহমান বলেন, গত ২ সপ্তাহ ধরে ঝিনাইদহে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে মরিচ, সীমসহ বিভিন্ন সবজি বাজারে কম আমদানী হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি কম আসায় দাম একটু চড়া। আশা করছি কিছুদিন পর শীতকালীন সবজি বাজারে এলে দাম কমবে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, আগাম শীতকালীন সবজি আবাদে কৃষক বেশি লাভবান হচ্ছে। অন্যান্য সবজিরও ভালো দাম পাচ্ছে তারা। বর্তমানে সবজির ভালো ফলন আর বাজারে সরবরাহকৃত সবজি নিরাপদ উপায়ে উৎপাদনে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ সে কারনে উৎপাদন ভালো হচ্ছে।