মোঃ আসাদুজ্জামান ঠাকুরগাঁও
ইফতেখারুল ইসলাম। একজন সফল মৎস্যচাষী। পড়াশুনা শেষ করে নিজ জমিতেই পুকুর করে চাষ করছেন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। একটি পুকুর দিয়ে মাছ চাষ শুরু করা এই সফল মৎস্যচাষী বর্তমানে ১০টি পুকুরে করছেন মাছের চাষ। তার সফলতা দেখে মাছ চাষের দিকে এগিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। গতকাল বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সদর উপজেলার ৯নং রায়পুর ইউনিয়নের মটরা গ্রামের ইফতেখারুল ইসলামের পুকুরে গেলে এমনি বিষয়টি চোখে পড়ে। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে,২০১৯-২০ অর্থবছরে জেলায় প্রায় ৯৪ জন মৎস্যচাষীকে মাছ চাষ বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। জানা যায়, ঢাকা তেজগাঁও কলেজে বিবিএ করে ২০১৯ সালে বাসার সামনে প্রথম মাছ চাষ শুরু করেন এই উদ্যোক্তা। প্রথম অবস্থায় প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচে একটি পুকুরে রুই, তেলাপিয়া, মাগুর, পাঙ্গাস সহ বিভিন্ন মাছের চাষ করেন তিনি।
কিছুদিনের মধ্যে মাছ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেন ইফতেখারুল। ১০টি পুকুরের মাছ বিক্রি করে প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো আয় করেন এই উদ্যোক্তা। এদিকে চলতি বছরে জুন মাসে জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা স¤প্রসারণ প্রকল্পের সহযোগিতায় ৫০ শত জমিতে করেছেন কঈ মাছের চাষ। জেলার মৎস্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া হয়েছে চার দিনে প্রশিক্ষণ। সফল মৎস্যচাষী ইফতেখারুল ইসলাম বলেন,আমি প্রায় তিন বছর থেকে এই মৎস্যচাষে জড়িত রয়েছি। পড়াশুনা শেষ করে আমি নিজেই এই মাছের ব্যবসা ধরেছি।
আমি প্রথমে একটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেছিলাম। এরপর আমি আস্তে আস্তে ১০টি পুকুরে মাছের চাষ শুরু করি। আমি মনে করি এই মাছ চাষের মাধ্যমে সমাজের বেকার সমস্যা দূর করা যাবে। এছাড়া মৎস্য অধিদপ্তর থেকে আমাদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। এছাড়া তারা প্রতিনিয়ত আমাদের খবরা খবর রাখছেন। ঠাকুরগাঁও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন,আমরা মাছ চাষীদের প্রশিক্ষন দিয়েছি। তাদের সফলতা দেখে অন্যরা এগিয়ে আসছে। আমরা অনলাইন থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে চাষীদের খবরা খবর রাখছি। আমাদের ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা স¤প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে জেলায় বেকারত্বের হার অনেকাংশে কমে আসবে বলে আমরা মনে করি।