অপরাধ প্রতিবেদনঃ
গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ সরকার পতন হলে দেশব্যাপী আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটে যা তড়িঘড়ি করে ছাত্র-জনতা মিলেমিশে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে তবে বরাবরের মত স্বাধীনতা বিরোধী সুযোগ সন্ধানী কুচক্রী মহল হিংসাত্মক আচরণকে কাজে লাগিয়ে দেশব্যাপী শুরু করে অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর, লুটতরাজ দখলবাজি। ঠিক এমনিভাবে ডেমরা থানাধীন ৬৮ নং ওয়ার্ডের বসবাসরত সাংবাদিক খালেদ মাসুদ বিএনপি’র সাংবাদিক প্যানেলের সাথে বিগত ১৫ বছর সকল মিছিল মিটিং সভা সমাবেশ পিকেটিং ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করলেও হঠাৎ তাকে যুবলীগের কর্মী তকমা লাগিয়ে দখল করে নেয় তার টিনশেড বাড়ি। ডেমরা থানায় বিএনপির দুটি গ্রুপ থাকলেও খালেদ মাসুদ কোন গ্রুপের সাথে কাজ করেনি এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে ডেমরা থানাধীন ৬৭ নং ওয়ার্ডের নৌকার কর্মী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম ও তার ভাই মোঃ ফারুক বিএনপি নেতা হাজী হযরত আলী ও যুবদলের সদস্য সচিব মাহাবুবের নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্রলীগ যুবলীগ ও কিশোরগ্যাং সদস্যদের নিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে বাড়িটি দখল করে।
বাড়ির পক্ষে বিপক্ষে আদালতে পাঁচটি মামলা রয়েছে যাহার সি আর মামলা নং ৩১৫ / ২০২২ –১০৫/২০২১—১৩৪/২০২১–১০৭/২০২১—১১৩/২০২১—১১১/২০২২। ৫ই আগস্ট ২০২৪ এর আগে ও পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সহ দায়িত্বরত নেতারা দফায় দফায় দলের নেতাকর্মীদেরকে কোন ধরনের নাশকতা, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, থেকে বিরতি থাকার নির্দেশনা দিলেও সে নির্দেশনা কে না মেনে তারা সাংবাদিক খালেদ মাসুদের বাড়িতে দখলের পর ব্যাপক ভাঙচুর লুটতরাজ ও তান্ডব চালিয়েছেন। বাড়িটি দখলের সময় সেনাবাহিনী দুই বার এসে তাদের উঠানো দখলের ওয়াল ভেঙে দেয় এবং আর কোন হাঙ্গামা না করার জন্য নিষেধ করে সেনাবাহিনী চলে গেলে তারা শান্ত না হয়ে আইনশৃঙ্খলা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের কাজ চালিয়ে গেছেন। ভুক্তভোগী খালেদ মাসুদ উপায়ান্তর না পেয়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাহায্য চাইলে কেন্দ্রীয় নেতারা তাৎক্ষণিক টেলিফোনে স্থানীয় যুবদল নেতাদের নির্দেশনা দেন কিন্তু উশৃংখল বিএনপি নেতা হযরত আলী হাজী ও মাহবুব বিএনপি’র যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা কে তোয়াক্কা না করে দখল বাজী সমাপ্ত করেন।
ভুক্তভোগীর পুরো পরিবার আতঙ্কে দিন যাপন করছে যেকোনো সময় সাংবাদিক খালেদ মাসুদ তাদের হামলা শিকার হতে পারে এমন আশঙ্কায় কান্না জড়িত কন্ঠে মাসুদসহ তার পরিবারের লোকজন বলেন ছাত্র-জনতা রক্তের বিনিময়ে দেশের নতুন সূর্য উদয় হল আর আমরা সেই আওয়ামী লীগের আমলের মত নির্যাতনেরওই শিকার হলাম। তারা আরো বলেন থানায় গিয়ে অনেক কান্নাকাটি করেও কোন পুলিশ আনতে পারিনি। দখলবাজরা হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে জায়গাটি দখল করে নেয়। এ বিষয়ে দখলবাজীর সাথে জড়িত বিএনপি নেতা হাজী হযরত আলী, মাহবুব, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম ও তার ভাই ফারুক এর সাথে আলাপ কালে তারা বলেন আমরা যা করেছি বুঝে শুনে করেছি আইনের কাজ আইন করুক। দল থেকে নিষেধ করা হলেও আপনার কোন দলের হাই কমান্ড কে মানতে চান না এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন এটা আমার জবাব আমি দিব, অপনারা আপনাদের কাজ করেন, তারা দম্ব খাটিয়ে বলেন দেশ এখন বিএনপির।পুলিশের কার্যক্রম চলমান থাকলেও এত বড় ঘটনা কেন পুলিশ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়নি জানতে চাইলে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত ফারুক মোল্লা বলেন আমি বলেছি পাঁচটি গাড়ি একসাথে যাওয়ার জন্য তারা একসাথে হতেও পারে না যেতেও পারছে না। চার দিন ধরে কেন একজন সাংবাদিক হিসেবে হেল্প করতে পারছেন না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন পুলিশ এখন আতঙ্কে আছে সব বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করব না