অনলাইন ডেস্ক:
দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং। দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়সহ রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করতে ঢাকা সফরে এসেছেন তিনি। শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টা ২৫ মিনিটে ভাইস মিনিস্টার ওয়েইডং ঢাকায় পৌঁছান। হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইস্ট এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান ও ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
১৯৬৬ সালের সেপ্টেম্বরে জন্ম নেন এই চীনা কূটনীতিক। ১৫ নভেম্বর ২০২২ সাল থেকে পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস-মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর আগে পাকিস্তান (২০১৩-২০১৭) এবং ভারতে (২০১৯-২০২২) চীনা রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর পর তাকে পদোন্নতি দিয়ে পররাষ্ট্র ভাইস-মিনিস্টার করা হয়। তিনি হচ্ছেন ভারতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব শেষ করা তৃতীয় চীনা কূটনীতিক যাকে এই শীর্ষ পদে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ওয়েইডং ভাইস মিনিস্টারে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম বাংলাদেশ সফরে এলেন। চীনের ভাইস মিনিস্টার ঢাকা সফরের কর্মসূচি অনুযায়ী, শনিবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে হতে যাওয়া এফওসি বৈঠকে অংশ নেবেন। ঢাকার পক্ষে এফওসিতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও বেইজিংয়ের পক্ষে ভাইস মিনিস্টার ওয়েইডং নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন। চীনের ভাইস মিনিস্টার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি পদ্মা সেতু দেখতে যাবেন চীনের ভাইস মিনিস্টার।
সূত্র জানায়, চীন তার ‘গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে (জিডিআই)’ বাংলাদেশকে যুক্ত করতে চায়। এরই মধ্যে চীন এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতার খসড়া পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ ওই খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে।
চীনের সহযোগিতায় দুই দেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট উদ্যোগ নিয়েছে। ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়াইডংয়ের সফরে এ বিষয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চীনের প্রধানমন্ত্রী শি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরে উভয় পক্ষ তাদের সম্পর্ককে কৌশলগত মাত্রায় উন্নীত হওয়ার ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড (বিআরআই)’ উদ্যোগে যোগ দিয়েছে। বর্তমানে এ সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে উভয় পক্ষ কাজ করছে। সূত্র: ইউএনবি