নিজস্ব প্রতিবেদক
দৈনিক আমাদের কন্ঠে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন সহ তার অপরাধ সাম্রাজ্যের মূলহোতা খালু শামীম, দুলাভাই জামায়াত নেতা বাবলু, মাদক ব্যবসায়ী সরষ আলী, গেদা, সুফিয়ান, কিশোর গ্যাং লিডার আশরাফ, কাইল্লা আজিজ, সুমন, মিম, ফাইজুল সহ সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ডকুমেন্টারি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় যা চলমান। বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মাহমুদুল হাসান পলিনের বাবা আব্দুল লতিফ ৯০ দশকের দিকে জাতীয় পার্টির হয়ে ডেমরা ঘাটে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশের মঞ্চে ভাঙ্গচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। সাথে ছিলেন ডেমরার কাইল্লা সিরাজ যিনি বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ৬৭,৬৮ ও ৬৯ নং ওয়ার্ড এর হিমেলের বাবা। মাহমুদুল হাসান পলিনের মতো হাইব্রিড যুবলীগের নেতার পক্ষেই কেবল বিয়ের নামে তরুণীদেরকে ভোগের পাত্রী বানাতে পারে। পলিন কতৃক প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী কিশোরী অনামিকা খান আমাদের কণ্ঠের সাথে একান্ত আলাপকালে বলেন,
পলিনের সাথে আমার ফেসবুক মেসেঞ্জারে পরিচয় হয় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। তার পর থেকে কথাবার্তার একপর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাবে গড়ে তোলেন বন্ধুত্ব, আমি তাকে কোনদিনও ভাবতে পারিনি যে সে আমার সাথে এমন অমানবিক নিষ্ঠুর নির্মম আচরণ করবে। প্রথমে আমাকে বলেছিল রামপুরা বা গুলশানে একটি ফ্ল্যাট নিয়ে নাও আমাদের একসাথে বসবাস করতে নিরাপত্তার সমস্যা হবে না। দীর্ঘদিন পলিন চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে একদিন আমার সাথে জরুরী কথা আছে বলে তার সহকারি কাদেরকে আমার বাসার সামনে পাঠায় তার ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে। আমিও বন্ধুত্বের সম্পর্কে তার উপর বিশ্বাস রেখে ওই গাড়িতে করে চলে যাই। যাওয়ার পর পলিনের বেয়াই ডেমরা থানাধীন ডগাইর পূর্ব-পাড়ায় বসবাসকারী ইনকাম ট্যাক্স উকিল তাইজুলের বাড়িতে নিয়ে জোরপুর্বক নেশাজাতীয় মাদক সেবন করে শাররীক সম্পর্ক তৈরি করে। আমি চিন্তাও করতে পারিনি পলিন এতটা নরপশু, মানুষ রূপি হায়েনার দল।
তার সাথে সব সময় কয়েকজন অবৈধ অস্ত্র ধারী লোক থাকে। আমাকে যখন পলিন অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করে তখন থেকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করি, তাতেই বন্ধুত্যের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। শিকার হই নানাবিধ চক্রান্তের। আমি রাষ্ট্রের সকল স্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মানুষের কাছে প্রশ্ন রাখলাম, কি করে তাইজুলের মত একজন উকিলের বাসায় তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পলিন একাধিকবার অনৈতিকভাবে আমাকে ব্যবহার করলো। উকিল তাইজুল বলেন, একটা বয়সে অনেক কিছুই হয় এইটা কোন ব্যাপার না। তাহলে কি এই দেশে কাউন্সিলর পলিন ও ইনকাম ট্যাক্স এর উকিলদের ক্ষমতার কাছে মা-বোনের ইজ্জত মূল্যহীন। অনামিকা আরও বলেন, কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন একাধিকবার আমাকে জোর করে মাদক সেবন করতে বাধ্য করেছে। এমনকি যে বোতলের মদ আমাকে খাওয়াত সে বোতলের ছবি আমার মোবাইল দিয়ে তুলে তার নিজের মোবাইলে হোয়াটস এপ, ইমু, ফেইসবুক ম্যাসেনজারে ট্রান্সফার করে ডকুমেন্ট করেছে উল্টো আমাকে মাদক সেবী বানাতে। পলিন যত ভয়ঙ্কর অপকর্মই করুক না কেন তা যেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ না পায় সেজন্য তার নিকট আত্মীয়, ব্যবসায়ী পার্টনার ও সমস্ত অপকর্মের হোতা জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ডেমরা প্রতিনিধি মাহবুব মনি সহ দুই জন সাংবাদিক তাকে প্রকাশ্যে সহযোগিতা করে। যাহা বস্তুনিষ্ঠ স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমকে কলঙ্কিত করেছে। আমি মনে করি তারা হলুদ সাংবাদিক।
ভুক্তভোগী তরুণী অনামিকা খান আনুর বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে অভিযুক্ত কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিনকে পাওয়া যায়নি। তবে পলিনের মায়ের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, আপনি আমার নাম্বার পেয়েছেন কোথায়? একপর্যায়ে পলিনের মা বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা । তবে পোলাপান মানুষ ভুলত্রুটি করতে পারে। অন্য অভিযুক্ত ইনকাম ট্যাক্স এর উকিল তাইজুলের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তাইজুল আমাদের কন্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মিয়াজী সেলিম আহমেদ কে বলেন, আপনি জানলেন আমি ইনকাম ট্যাক্সের উকিল তারপরও কোন সাহসে আমাকে ফোন করেছেন আমি আপনাকে দেখে নেব বলে হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দিয়ে ভুক্তভোগী তরুনীর অভিযোগের বিষয়টি এড়িয়ে যায়। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের একজন উকিল কে ফোন দেওয়া নিয়ে হুমকি প্রদান করা স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য অশনি সংকেত। ভুক্তভ‚গী তরুনীর ন্যায়বিচার ও ইনকাম ট্যাক্স এর উকিল তাইজুলের হুমকি এবং অভিযুক্ত কাউন্সিলর পলিনের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে আলাপকালে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও মহামান্য হাইকোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন একজন জনপ্রতিনিধি কোনোভাবেই এ ধরনের অন্যায় কাজে সম্পৃক্ত হতে পারে না। তাছাড়া তাইজুল একজন উকিল মানুষ তিনি আইন পেশায় কর্মরত থেকে যদি তার বাসায় অপকর্ম করার সুযোগ করে দেয় তা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং আমরা তদন্ত সাপেক্ষে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। তাছাড়া সাংবাদিকদের হুমকি প্রদান করা মোটেও ঠিক হয়নি হুমকি না দিয়ে বরং তাদের সহযোগিতা করা দরকার ছিল। উক্ত ঘটনার বিষয়ে আলাপকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন এমন ন্যাক্কার ঘটনার অভিযোগ পেলে আমি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে রাষ্ট্রকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা বলেন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে। ভুক্তভুগী তরুণী অনামিকা খান আনু বলেন আমি আতঙ্কিত, শঙ্কিত যেকোনো সময় পলিন তার লোকবল দ্বারা বা অন্য যে কোনো পন্থা অবলম্বন করে আমাকে গুম খুন করতে পারে তাই আমি সাংবাদিক বন্ধু পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।