বরগুনা প্রতিনিধি :
বরগুনা তালতলী উপজেলায় নাইন এমএম তরাস পিস্তল সহ জাকির হাওলাদার নামের একজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছে জনতা। সোমবার (২৫ নভেম্বর সকাল ৮টায় উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের বড়পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,গত ১০ নভেম্বর এই ইউনিয়নের বড়পাড়া এলাকার জাফর মেম্বারের বাড়ির সামনে হাসান পাটোয়ারী ওরফে পিচ্চি হাসানকে, প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়ের রগ কেটে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনার পর হাসান সুস্থ হয়ে এলাকায় ফিরে এসে বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীদের হুমকি ধামকে দিয়ে আসছে। এই ঘটনার জের ধরে হাসান পাটোয়ারী ওরফে পিচ্চি হাসানের সহযোগী
জাকির আল -আমিনও রুহুল হাওলাদার কয়েকটি পিস্তল নিয়ে জামাল মাস্টার এর বাড়ির সামনে স্থানীয়দের গালিগালাজ ও হুমকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেন
সগির হাওলাদার নামের এক ব্যাক্তি। ছগিরকে উদ্দেশ্য করে জাকির কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এরপর আহত সগীর অস্ত্র ধারি জাকিরকে জাপটে ধরেলে স্থানীয় জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে জাকিরকে পুলিশে সোপর্দ করে।এ সময় আলামিন ও রুহুল পালিয়ে যায়।
আহত সগির হাওলাদার জানান, গত ১০ নভেম্বর বড়পাড় জাফর মেম্বারের বাড়ির সামনে হাসান পাটোয়ারী কে বা কাহারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়ের রগ কেটে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। হঠাৎ তিনি সুস্থ এসে আমাদের গালিগালাজ করেন এবং খুন জখম করার হুমকি দিতে থাকেন। আজকের আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওরা দেশীয় অস্ত্র পিস্তল নিয়ে আসে।ওরা আস্তে আস্তে ঐ গ্রামটাকে ইয়াবা দিয়ে ধ্বংস করবে। আর এর প্রতিবাদ করায় ওরা আমার মত আরও কাউকে হত্যার চেষ্টা বা খুন করার চেষ্টা করবে।
তবে এ বিষয়ে, তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত ) আল ইমরান বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে ১ টি 9mm পিস্তল, ৫ রাউন্ড তাজা গুলি ও ২ টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। আহত গুলিবিদ্ধ সগির ও অস্ত্রধারী জাকিরকে চিকিৎসার জন্য তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।তালতলী থানায় মামলা দায়ের হচ্ছে।